নিজস্ব প্রতিবেদক: গণতন্ত্রের মানষকন্যা, বিএনপি চেয়ারপার্সন, তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, মাদার অব ডেমোক্রেসী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। আজ দুপুরে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত ডাক্তার জাহিদ বলেছেন তিনি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। তিনি ওষুধ নিতে পারছেন। তবে শারীরিক অবস্থা আগের মতই আছে। তাঁর আশু রোগমুক্তি কামনায় বিএনপি, অঙ ও সহযোগি সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাধারণ জনগণ ও বিশ্বের অনেক দেশেই দোয়া ও মোনাজাত চলমান রয়েছে। করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ওলামায়ে একরামগণ এবং দেশের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনা চলমান রয়েছে। এখন কোন মানুষই তাঁর বিরোধীতা করছেন না। বেগম জিয়া এখন এক্যের প্রতিকে পলিনত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে পবা উপজেলা দামকুড়া হাটে দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বেগম জিয়ার আশুরোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং পবা-মোহনপুর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষ এক হয়ে গেছে। সেইসাথে বিশ্বের নানা দেশে এবং নানা দেশের কুটনৈতিকগণও তাঁর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া করছেন। কারন বেগম জিয়া হচ্ছে এদেশের কৃষক শ্রমিকসহ আপামর জনগণের নেত্রী। তিনি এদেশের তিনবার প্রধানমন্ত্রী ও দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন। তিনি সারা জীবন ত্যাগ করেই গেলেন। তিনি স্বামী ও সন্তান হারিয়েছেন। হারিয়েছেন নিজ বাড়ি। এখন তার জীবন সংকটাপন্ন। তিনি নির্মম নির্যাতন ও জেল জুলুমকে আমলে না নিয়ে এদেশেই ছিলেন। তাঁকে সামান্য দুই কোটি টাকার মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায় খুনি হাসিনা। এরপর তাঁকে এক প্রকার বিনা চিকিৎসাকে জেলে রাখা হয়। দেশে মহামারী করোনাকালীন সময়ে জেলের ঐ শেঁতশেঁতে রুমের কারনে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। সে সময়ে পিজি হাসাপাতালে ভর্তি করলেও প্রয়োজনৗীয় চিকিৎসা প্রদান করতে দেয়নি খুনি হাসিনা।
মিলন বলেন, বেগম জিয়ার রোগ নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা নানা ধরনের বাজে মন্তব্য করেছিলো। সন্তান ও বাড়ি হারিয়ে এবং বিনা চিকিৎসার তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়লেও তিনি খুনি হাসিনাকে কোন খারাপ কথা বলেননি। তিনি শুধু আল্লাহর নিকট বিচার দিতেন। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেননা। দেশবাসীকে এবং বিএনপিসহ সমমনা দলের নেতাকর্মীদের যেভাবে হাসিনা অত্যাচার নির্যাতন করেছে তা ফেরাউনকে হার মানিয়েছে। সেই থেকে হাসিনা লেডি ফেরাউনে পরিণত হয়েছে বলে জানান মিলন। তিনি বলেন, বেগম জিয়া আগেও দেশের সর্বোচ্চ সম্মানের ব্যক্তি ছিলেন। এখন তা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হলো।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া মোট তেইশটি আসনে নির্বাচন করেছিলেন এবং প্রতিটিতে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাহলে তিনি কতটা জনপ্রিয় নেত্রী তা সবাই জানেন। এখন সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে। এতে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেন এর সময়ে সবাই বলে মাইনাস টু ফরমুলা করা হয়েছিলো। প্রকৃত পক্ষে মাইনাস টু নয় মাইনাস ওয়ান ফরমুলা করা হয়েছিলো। শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে দেশ থেকে বের কের দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছিলো বলে জানান তিনি। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারেকে। আল্লাহ রহমতে তিনি দেশেই আছেন। এই মহিয়শী নারীর দ্রুত রোগমুক্তির জন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি। বক্তব্য শেষে বেগম জিয়ার আশুরোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল কনক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব নওশাদ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক হান্নান, হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদুর রহমান ও মহানগর বিএনপির অন্তর্গত ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা। পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার সঞ্চালনায় দামকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান হাফিজ ও তানজিমসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বশরীতে বেগম জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সেখানে এডভোকেট শফিকুল মিলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ও দোয়ায় অংশগ্রহন করেন। সেখানে রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মাস্টার, পবা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম সাহেবসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্র্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। #















