বিয়ের নয়দিনে মাথায় জলপাইবাগান হতে বরের লাশ উদ্ধার !

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: বিয়ের মাত্র নয়দিনের মাথায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জলপাই বাগান হতে মরম আলী (২৮) নামে এক বরের লাশ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।

নিহত মরম উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত মোকশেদ আলীর ছেলে।

নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার মোল্লাপাড়ার মৃত মোকশেদ আলীর কনিষ্ট ছেলে মরম আলীর সাথে পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের পূর্ব সিরাজপুর গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২০)’র গত শুক্রবার (৩ জুলাই) পারিবারিক সম্মতিক্রমে বিয়ে হয়।

বিয়ের দিন চারেক পরই নববধুর সান্নিধ্য থেকে সড়ে এসে মা সাফিয়া খাতুনের কক্ষেই রাত্রীযাপন করতে থাকেন মরম আলী। এরপর থেকেই অনেকটা মানসিক চাঁপে ভুগছিলেন তিনি।

প্রায়ই তিনি পরিবারের লোকজনের নিকট আত্মহনন করার ইচ্ছা ব্যাক্ত করতে থাকেন। এদিকে গত শুক্রবার রাতে মায়ের সাথে শয়ন কক্ষে ঘুমাতে যান মরম। ভোরবেলা মা জেগে দেখেন ছেলে তার পাশে নেই। এরপর তাকে খুঁজতে বের হন পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে সকালের দিকে বাড়ির অদুরে জলপাই বাগানে জলপাই গাছের ঢালে গলায় লুঙ্গি পেঁচানো অবস্থায় মরমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান গ্রামবাসী।

গতকাল শনিবার বিকেলে সদ্য বিধবা ফাতেমা খাতুন বলেন, আমার হাতের মেহেদীর রঙ্গ মুছে যাবার আগেই তো আমি বিধবা হলাম! কী কারণে আমার স্বামী আত্মহত্যা করলেন তাও তো জানা হলনা আমার, শুধু এটুকু জানি তিনি (আমার স্বামী) গত কয়েকদিন ধরে মাথার সমস্যা নিয়ে অসুস্থ ছিলেন।

নিহত মরমের মা সাফিয়া খাতুন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার তিন ছেলের মধ্যে মরম কনিষ্ট, সে কৃষিকাজ করত, বিয়ের পরই তার কিছুটা মানসিক সমস্যা দেখা দিলে আমরা কবিরাজের শরাপন্ন হই, কিন্তু সে যে আত্মহত্যা করবে সেটি আমরা বুঝতেই পারিনি।

গতকাল শনিবার রাতে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বললেন, ঠিক কি কারণে মরম আলী আত্মহত্যা করেছেন তা আপাতত সুনিদ্রিষ্ট ভাবে বলা যাচ্ছেনা, তবে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরে তিনি নাকি কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্থ ছিলেন। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.