বিমান এবং ট্যাংক বিধ্বংসী ১৫৩টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আরব সাগর থেকে বিমান এবং ট্যাংক বিধ্বংসী ১৫৩ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আটক করেছে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস নরম্যান্ডি। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য জেরুজালেম পোস্ট’ এবং বার্তা সংস্থা ‘আনাদলু এজেন্সি’ এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার আরব সাগর থেকে ১৫০টি ট্যাংক বিধ্বংসী এবং ৩টি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আটক করা হয়। আটককৃত ১৫০টি ট্যাংক বিধ্বংসী ‘দেহলভি’ (এটিএমজি) ক্ষেপণাস্ত্র মূলত রাশিয়ার কোরনেট ক্ষেপণাস্ত্রের (এটিএমজি) আদলে তৈরী করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উৎপাদন নকশা দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এগুলো ইরানের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র।

এর আগে গত বছর নভেম্বরে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ‘ফরেস্ট শেরম্যান’ আরর সাগর থেকে এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্রের চালান জব্দ করেছিল। ওই ক্ষেপণাস্ত্রের চালানটি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের অস্ত্রের যোগান দিতে পাঠিয়েছিল ইরান।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র চালানটিও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের জন্য পাঠিয়েছিল ইরান। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেই হুথি বিদ্রোহীদের অস্ত্রের যোগান দিয়ে আসছে ইরান।

দীর্ঘদিন ধরে চলা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার আঞ্চলিক ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। জাতিসংঘে গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া নিজ দেশের বাইরে অস্ত্র সরবরাহ, বিক্রি বা স্থানান্তর করতে পারে না ইরান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.