বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থীদের গোপনে চিঠি দেওয়া হচ্ছে !

ঢাকা প্রতিনিধি: গতকাল রোববার দিবাগত রাতে অনেকটা গোপনীতার মধ্য দিয়েই প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দেয়া শুরু করেছে বিএনপি। আজ সোমবার চূড়ান্ত প্রার্থীদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করবে দলটি। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, রোববার দিনগত রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদসহ অনেকে চিঠি সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, যারা দূরে যাবেন তাদের অনেকে রাতে চিঠি নিয়ে গেছেন। বাকিদের সোমবার গুলশান কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বিটিসি নিউজকে জানান, প্রার্থী চূড়ান্তের ক্ষেত্রে বিএনপির যে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার সেটাই করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যাদের প্রার্থী ঘোষণা করছে তাদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে। এবার বিএনপির একই পরিবারের দু’জন মনোনয়ন পাবেন না। এখনই চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা হচ্ছে না। প্রত্যেক আসনেই বিকল্প প্রার্থী রাখা হচ্ছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৩টি চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ঢাকা-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৯ আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-১০ আবদুল মান্নান, ঢাকা-১৩ আবদুস সালাম, ঢাকা-১৪ এসএ সাজু, ঢাকা-১৭ মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ঢাকা-১৯ ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন, ঢাকা-২০ তমিজউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-৪ আসনে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল অথবা রতন চেয়ারম্যান, ঢাকা-৭ মোস্তফা মহসিন মন্টু, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব অথবা ঐক্যফ্রন্টভুক্ত কোনো দলের নেতা, ঢাকা-১১ এমএ কাইয়ুম অথবা সফিউল বারী বাবু, ঢাকা-১৫ সিনিয়র কোনো নেতা অথবা মামুন হাসান, ঢাকা-১৬ একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন অথবা আহসান উল্লাহ হাসানকে নিয়ে মনোনয়ন বোর্ডে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা ১৮ আসনটি জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রবের স্ত্রী দলের সহসভাপতি তানিয়া রবকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এই আসনে ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। এবার তাকে খুলনা-৪ আসনটি দেওয়া হতে পারে।

নির্বাচন কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর, মনোনয়ন বাছাই ২ ডিসেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করতে পারবেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.