বিএনপির যেকোনও কূটকৌশল প্রতিরোধ করা হবে : কাদের

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ‘আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু নয়। বিএনপির যেকোনও কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।’ এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (১৪ মে) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমন সতর্কবার্তা আসলো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সতর্ক আছি। নির্বাচন পর্যন্ত সারাদেশে নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে। তারা যতই হুমকি ধামকি দিক আমরা আমাদের কর্মসূচিতে অবিচল আছি। ২০১৩-১৪ সালের মতো তারা আগুন সন্ত্রাসের কূটকৌশল নিয়ে এগোতে পারে। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। বাংলাদেশে শান্তি বিনষ্টকারী কূটকৌশল প্রতিরোধে আমরা সতর্ক আছি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও তার দোসররা রাজনৈতিক ঝড় তুলে শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের কথা বলছে। বাস্তবতা হচ্ছে তাদের কোনও আন্দোলন করা, ঝড় তোলার সামর্থ্য নেই বলেই আজ গলাবাজি করে নিজের অক্ষমতাকে ঢাকতে চাচ্ছে।’
‘বিদেশি দূতাবাসগুলোতে নালিশ করা– এই প্রবণতা বিএনপির। দেশকে ছোট করে বিদেশিদের ইচ্ছায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে– এমন অবান্তর ধারণা নিয়ে আছে বিএনপি’ এই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই। সে কারণে দেশে শান্তির বাতাবরণ বিরাজ করুক। নির্বাচনে বিএনপি আসবে না, এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু নির্বাচন করতে দেবে না, রুখে দেবে– এমন হুমকিদাতাদের আমরাও দেখে নেবো কারা রুখে দেয়। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেবো।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজদেশ দুটি ধারায় বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা, অপরদিকে সাম্প্রদায়িক ধারা যার নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচিতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়নি। আজ তাদের নেতাকর্মীরা বুঝে গেছে মুখের গলাবাজি বাস্তবে মরীচিকা। আন্দোলনের পথরেখা থেকে নিজেরা সরে গেছে। তাদের জোটে অনৈক্য। উইকেটের পতন ঘটছে। এখন ১৪/১৫ টা দল আছে মনে হয়। তাদের নেতা নেই। নেতা ছাড়া আন্দোলন -দুঃস্বপ্ন। কী কর্মসূচি দেবে তা ভেবে তারা দিশেহারা।’
জিয়াউর রহমানের নামে হত্যা মামলা দায়ের প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দল বা সরকার কোনও মামলা দায়ের করেনি। একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করেছেন।’
ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মনিটরিং করে খোঁজখবর নিচ্ছেন। দলের পক্ষ থেকেও সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দকে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে আগেভাগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশ্চর্য দ্রুততার সঙ্গে মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.