বাগেরহাটপ্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তানু ভূঁইয়া (৩৬) হত্যাকাÐের মূল অভিযুক্ত ফরিদ শেখসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাদী হয়ে শনিবার রাতে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলো: বাগেরহাট পৌর শহরের পূর্ব-বাসাবটি এলাকার টুটুল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (২৯)একই এলাকার জামাল মিস্ত্রী ছেলে মনির (২৬), আলী আকবরের ছেলে রাতুল (২৭), আব্দুস সোবাহানের ছেলে সিরাজুল (২৭), ইসমাইলের ছেলে আলামিন (৩০), রুস্তুমের ছেলে সুমন (২৬), মোসলেম শেখের ছেলে মুকুল শেখ (৫৩) ও সদর উপজেলার কাড়াপাড়া এলাকার সোহাগ (২৫) ও বাসাবাটি এলাকার মৃত সোবহানের ছেলে কবির (৫০)।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ২০ ঘন্টার মধ্যে নুরে আলম ভুইয়া তানুকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার বিষয়ে রবিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এক প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকান্ডের পরপরই ডিএসবি ও ডিবি পুলিশ ঝটিকা অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে ফরিদের ফুফু বাড়ী ঘেরাও করে ৭ জন কে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃতদের নিকট থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আর হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাদী হয়ে আটককৃতরাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে শনিবার রাতেই বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
এই হত্যাকান্ডটি কোন রাজনৈতিক আধিপত্য নয় এটি স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হয়েছে। ঘটনার পর তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে নিহত তানুর সাথে এদের পূর্ব বিরোধ ছিল সেই বিরোধের জেরে এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি।
এই হত্যাকান্ডে এখন পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাইনি। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বাগেরহাট পৌরশহরের বাসাবাটি পদ্মপুকুরের মোড় এলাকায় ফরিদ নামের এক ব্যক্তির গুলিতে নিহত হন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক নুরে আলম তানু ভুঁইয়া। নিহত তানু ভুঁইয়া বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার মৃত আব্দুর রব ভুঁইয়ার ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংকালে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোঃ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোর্য়াটার) রাসেলুর রহমান, বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গনমাধ্যম শাখার মূখপাত্র এ এস এম আশরাফুল আলমসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.