বাগমারায় সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ

ফাইল ছবি
বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের ভটখালি গ্রামের বিশু সাখিদারের বিরুদ্ধে রাস্তায় সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় আবুল কালাম স্বর্ণকার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের বারইহাটি থেকে ভটখালি থেকে পর্যন্ত পাকা সড়কে সরকারী ভাবে বিভিন্ন জাতের মূল্যবান কাঠের গাছ লাগানো ছিল। গাছ গুলো বড় হওয়ার সুবাদে ভটখালি গ্রামের মৃত মুসলেম আলী সাখিদারের ছেলে গ্রামের বিশু সাখিদার ও তার ছেলে রেজাইল ইসলামসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে রাস্তার গাছ কেটে সাবাড় করছে। প্রায় প্রতিদিন বিশু সাখিদার কতিপয় দুস্কৃতিকারীদের নিয়ে খন্ড খন্ড ভাবে রাস্তার গাছ কেটে পাশ্ববর্তি ইট ভাটায় বিক্রি করে। এতে করে ওই সড়কের প্রায় অর্ধশত গাছ কেটে ফেলেছে। গাছ গুলো কাটা শুরু করলে এলাকার লোকজন বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করে। প্রভাব খাটিয়ে এলাকার লোকজনকে ক্ষমতাসীন দলেরয় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিশু সাখিদার ও তার ছেলে রেজাইল ইসলাম।
শনিবার সকালে একই ভাবে তারা সড়কের শেষে ভটখালি বাজারের পাইকড় গাছ কাটতে শুরু করে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। অতপর: বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় তহসিল অফিসকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম আবু সুফিয়ান।
এদিকে দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে একের পর এক গাছ কাটলে কেউ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় আবুল কালাম স্বর্ণকার, জাহেদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, বাবু খাঁসহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন, প্রভাব খাটিয়ে এলাকার নামধারী ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় দিয়ে সরকারী সড়কের গাছ কাটায় বাধা দিলে লোকজনকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন বিশু সাখিদার ও তার ছেলে রেজাইলসহ কতিপয় দুস্কৃতিকারীরা। এবং দরপত্রের মাধ্যমে গাছ গুলো কিনে তিনি অন্যত্রে বিক্রি করেছেন বলে দাবি করেন তারা। অভিযোগকারী আবুল কালাম স্বর্ণকার বলেন, ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ গুলো একের পর এক গাছ কেটে পানির দামে বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে কিছু দিন আগে একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। তবে পর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিবর্তনে এখনো গাছ কাটা বিষয়ে কোন ব্যবস্থা হয়নি।
নব নিযুক্ত ইউএনও মহোদয়কে পুনরায় গাছ কাটার বিষয় শনিবার জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গাছ গুলো কাটার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এলাকার লোকজন বিশু সাখিদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিশু সাখিদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত বিশু সাখিদার গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমার রোপণ করা গাছ আমি কাটছি। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে তিনি তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মিথ্যা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম আবু সুফিয়ান বলেন, বিষয়টি আমার আগের। তবে মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিষয়টি দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট তহসিল অফিসকে আজই অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.