বাকৃবিতে এক নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ ব্যুরো: গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত অটোরিকশা চালক মোশাররফ হোসেনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে নগরীর কেওয়াটখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে অটোরিকশাটি আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় বিচারসহ চার দফা দাবিতে গতকাল রবিবার বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা ওসি মাইন উদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার পরই অভিযান শুরু করে পুলিশ। পাশাপাশি যানবাহনে তল্লাশী শুরু করে। পরে অটোরিকশা চালক মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার নাটেরকোনা গ্রামের হাবিবুল্লাহর ছেলে।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক দীন মোহাম্মদ দিনু জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ পত্র দেয়ার বিষয়টি আলোচনা করে সুরাহা করা হচ্ছে।
গতকাল সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল- বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ করা, এসব বাহনের নির্ধারিত কোড ও চালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলিতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির ঘটনায় অবিলম্বে বিচার করা।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় হতে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক কর্তৃক শ্লীলতাহানির শিকার হয় পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম (সাইফুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.