বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নারী কেবিন ক্রুরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন

বিটিসি নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ বিমানকে লাভজনক করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা সফল হচ্ছেনা। অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে ধরা পড়লেও কর্তৃপক্ষ কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস পাচ্ছে না। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে পুরুষ সহকর্মীদের হাতে বিমানের নারী ক্রুদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলেও অভিযুক্তকে শাস্তির বদলে দেয়া হচ্ছে পদোন্নতি। ফলে প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। একাধিক সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থে বিমানকে লোকসানের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

উল্টো ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নারী বিমান ক্রুদের অভিযোগ, বিভিন্ন দেশে ফ্লাইটে যাওয়ার পর পুরুষ সহকর্মীরা তাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে নির্যাতন করেন। এমনকি তাদের ধর্ষণের চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়। ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছে না। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, এক নারী ক্রু অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।

দীর্ঘ সাত মাস তদন্তের পর রনজুকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিমানের তদন্ত কর্মকর্তা। রনজুর বিরুদ্ধে দেওয়া প্রতিবেদনে তার ‘অশোভন, অনৈতিক আচরণ এবং আপত্তি করা সত্ত্বেও জোর করার’ বিষয়টি প্রমাণিত হয়। সাজায় স্পষ্টভাবে তাকে ‘পদানতি’ দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বর্তমান উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. নুরুজ্জামান (রনজুু)।

বিমানের এক কর্মকর্তা বলেন, কেবিন ক্রু ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এখন চাকরি ফিরে পেতে বিমান কর্মকর্তাদের দুয়ারে দুয়ারে বেড়াচ্ছেন তিনি। এ ঘটনায় রনজুকে শাস্তি দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, বছরখানেক আগে আরেক কেবিন ক্রু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা সত্য। তবে অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.