বাঁধাকপি চাষে কৃষকের মুখে হাসি 

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: চলতি মৌসুমে বাঁধা কপির বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাঁধাকপি চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। খরচের তুলনায় দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় দিনদিন এই উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাঁধাকপি চাষ।
অনুকূল আবহাওয়া, সময়মত বীজ বপন ও সুষম সার ব্যবহারে উপজেলায় এবার বাঁধাকপির ফলন ভালো হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখছেন এ উপজেলার চাষীরা। এ অঞ্চলের চাষীরা তাদের উৎপাদিত বাঁধাকপি এখন বাজার জাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজারে দামও পাচ্ছেন ভালো।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার অন্যান্য কৃষকের মধ্যে মো. সাহেদ উদ্দিন অন্যতম। সাহেদ জানান -উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ৫০ শতক জায়গায় (কে.কে.ক্রস) জাতের বাঁধাকপি চাষ করি। আগে এ জমিতে মুলা চাষ করেছিলেন। তেমন লাভ না হওয়ায় এবার একই জমিতে কৃষি অফিসের সহায়তা নিয়ে পরিক্ষামূলক ভাবে বাঁধাকপি চাষ করি। এ পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকার কপি বিক্রি সম্পন্ন করেছি। আরো ৫০-৬০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করতে পারবো।
সাহেদ আরো জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে পলিশেড় পদ্ধতিতে এই বাঁধাকপি চাষ করি। এ পদ্ধতিতে চাষের ফলে সার, কীটনাশক যথাযথ ভাবে গাছ শোষণ করায় গতানুগতিকের চেয়ে ১৫-২০ দিন আগে ফলন এবং ফলনের আকার অনেক বড় হয়েছে। চাষের সকল পণ্য পাইকারের কাছে বিক্রি না করে বিভিন্ন হাট-বাজার গিয়ে কেজি দরে বিক্রি করায় অন্যান্য কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছি।
সরেজমিনে গিয়ে সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ তরুণ উদ্যোক্তা সাহেদকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসসিপি)’র সহায়তায় সাহেদকে বাঁধাকপির চারা, সার, পলি ও অন্তপরিচর্যা বাবদ অর্থসহায়তা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরাও এখন আগ্রহ প্রকাশ করেন। এবং ভবিষ্যতে তাকে আরও সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও সমগ্র উপজেলার সকল কৃষকদেরকে কৃষি অফিসের বিভিন্ন সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল (শিমুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.