বাঁচতে চায় শিশু নিহাল

নাটোর প্রতিনিধি : যে বয়সে খেলাধুলা আর হাটিহাটি পা পা করে দৌড়ে বেড়ানোর কথা সে সময়ে ঘরের কোনে বসে নিরব যন্ত্রনায় দিনপার করছে বাচ্চাটি। ঠিকমত খেতে পারে না, হাটতে পারে না। হার্টে ছিদ্র ধরা পরেছে। সিংড়া উপজেলার শেরকোল বাজার পাড়ার আলম ও নাসিমা দম্পতির আদরের সন্তান নিহাল। বয়স চার বছর হলেও অসুখটি শিশুটির বুকে বাসা বেঁধেছে ছয় মাস বয়সে।

জানা যায়, জন্মের ছয়মাস পরে হঠাতই অসুখ দেখা দেয় শিশুটির। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখালে তিনি নাটোর বা রাজশাহীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেখাতে বলেন। এরপরে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ড. ইসতিয়াক আহমেদ এর কাছে শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিহালের হার্টে ছিদ্র ধরা পরে। সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয় শিশুটিকে। ঢাকায় জাতীয় ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে হার্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো হলে শিশুটির হার্টের অপারেশন করতে হবে বলে জানান তারা। এতে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানায়।

এদিকে দরিদ্র পিতা আলম হোসেন চার সদস্যের পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অটোভ্যান (ব্যাটারিচালিত) চালিয়ে সংসারের প্রতিদিনের খরচ যোগাতে হয় তাকে। আলম-নাসিমা দম্পতির প্রথম সন্তান নাহিদ। নাহিদের বয়স ৮ বছর। সে শেরকোল বাজারস্থ টিউলিপ কেজি একাডেমিতে ২য় শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। প্রতিমাসে অটোভ্যান চালিয়ে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা উপার্জন করে আলম হোসেন। নিহালের ঔষধ বাবদ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বড় ছেলের লেখাপড়া আর সংসারের খরচে সব টাকাই শেষ হয়ে যায়। অতি কষ্টে চলছে সংসার। আশা এনজিও থেকে লোন নেয়া আছে প্রতি মাসেই কিস্তি পরিশোধ করতে।

১০ বছর আগে শেরকোল বাজার পাড়া গ্রামের আলম হোসেনের সাথে একই উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের ইদ্রাশন গ্রামের নাসিমার বিয়ে হয়। নিহালের সুচিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছে নিহালের স্বজনরা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.