বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ শুরু হয়েছে। গত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের দায়ে তাকে এই সাজা দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ ঘোষণা দিয়েছে।
এই মামলার বিচারক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েস এক রায়ে বলেন, বলসোনারোকে ব্রাসিলিয়ার ফেডারেল পুলিশ কমপ্লেক্সেই রাখা হবে। তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বা সামরিক কারাগারে পাঠানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
বলসোনারোর আইনজীবীরা গৃহবন্দি অবস্থায় সাজা ভোগের আবেদন করেছিলেন। তবে তা নাকচ করে দেন বিচারপতি মোরায়েস। কারণ হিসেবে তিনি অ্যাঙ্কেল ব্রেসলেট ভাঙার চেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। বিচারক এটাকে বলসোনারোর পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেন।
বলসোনারোকে গত শনিবার (২২ নভেম্বর) গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন তাকে ফেডারেল পুলিশ কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন থেকে এখানেই আটক আছেন তিনি। বিচারক মোরায়েস জানান, বলসোনারোর বয়স ও দুর্বল স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তাকে প্রধান পুলিশ সদর দফতরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বলসোনারোকে পুলিশ সদর দফতরের একটি ১২ বর্গমিটারের কক্ষে রাখা হয়েছে। সেখানেই চলতি সপ্তাহে তার সঙ্গে স্ত্রী মিশেল বলসোনারো এবং দুই ছেলে দেখা করেন।
২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে হেরে যান বলসোনারো। তবে নির্বাচনের ফল মানতে অস্বীকারের পাশাপাশি ক্ষমতায় থাকতে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করেন তিনি।
অভ্যুত্থান পরিকল্পনা করার অভিযোগে বলসোনারোর বিচার শুরু হয় এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট লুলা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ডো আল্কমিনকে হত্যার পরিকল্পনাও ছিল, যদিও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সমর্থন না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।
বিচার চলাকালে চলমান ফৌজদারি মামলা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চাওয়ার অভিযোগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে তখন গৃহবন্দি করা হয় এবং যাতে পালাতে না পারেন সেজন্য পায়ে অ্যাঙ্কল ব্রেসলেট পরানো হয়। #















