বন্দুক আইন নিয়ে ফের সরব বাইডেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ন্যাশভিলের স্কুলে বন্দুকধারীর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন তিনি। সোমবার (২৭ মার্চ) নর্থ ক্যারোলিনার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সেখানে বক্তৃতা করতে উঠে ন্যাশভিলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। বাইডেন জানান, ওই স্কুলে যা ঘটেছে, তা মর্মান্তিক। এরপরই আমেরিকার বন্দুক আইন নিয়ে সরব হন তিনি। বাইডেনের বক্তব্য, একমাত্র কংগ্রেসই এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসতে পারে এবং দেশকে বাঁচাতে পারে।
এদিন বক্তৃতার সময় বাইডেন জানিয়েছেন, দুঃখজনক সত্য হলো, আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয় বন্দুকধারীর গুলিতে। গত কয়েক বছরে একের পর এক স্কুলে আক্রমণ হয়েছে এবং একের পর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ন্যাশভিল তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। এই মুহূর্তে এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
একটি সমীক্ষা তুলে ধরে বাইডেন জানান, বলা হচ্ছে, প্রতি বছর গাড়ি দুর্ঘটনায় যত ছাত্র-ছাত্রীর মৃত্যু হয়, বন্দুকধারীর হামলায় তারচেয়ে অনেক বেশি ছাত্র-ছাত্রী নিহত হয়। এই তথ্য দিয়েই বাইডেন দুঃখপ্রকাশ করে জানান, চোখের সামনে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও তার হাত-পা বাঁধা।
অস্ত্র আইন বদলের চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে এবার বিষয়টি তিনি কংগ্রেসের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য, একমাত্র কংগ্রেসই পারে এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে। নব্বইয়ের দশকের তুলনা টেনে এনেছেন বাইডেন। তিনি তখন কংগ্রেসে।
প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন অস্ত্র আইন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বাইডেনের বক্তব্য, এবারও সেই একইভাবে অস্ত্রের বিরুদ্ধে নামতে হবে। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, অধিকাংশ আমেরিকান ঘরে সেমি অটোমেটিক, হত্যা করা যায়, এমন অস্ত্র রাখতে চান না। কয়েকজন রাখে।
আর যারা রাখে, তারাই এই কাজ করে। ন্যাশভিলের স্কুলে এক নারী একাধিক বন্দুক নিয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ অবশ্য ঘটনাস্থলেই তাকে গুলি করে মেরে ফেলে। ন্যাশভিলের ঘটনায় তিনটি শিশু এবং তিনজন প্রাপ্ত বয়স্কের মৃত্যু হয়েছে।
এক নারী সেমি অটোমেটিক মেশিনগান নিয়ে স্কুলের ভিতর ঢুকে পড়ে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। পুলিশ এখনো পর্যন্ত তার পরিচয় প্রকাশ করেনি। কেন সে একাজ করলো, তাও এখনো স্পষ্ট নয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.