বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ ৯ জনের মৃত্যু , গুরুতর আহত অনেকে

  

 

ঢাকা প্রতিনিধি :  আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের আট ও নয়তলায় আগুন লাগে। এতে ওই ভবনে আটকা পড়েন বহু মানুষ।

ধারণা করে বলা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুন।

বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদের দুইজনই আতঙ্কে লাফ দিতে গিয়ে মারা গেছেন বলে মনে হচ্ছে। এছাড়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ১৯ জন। নিহত একজনের নাম মনির। এছাড়া আর কারো নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।’

ইউনাইডেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিটিসি নিউজকে জানায়, তাদের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ২৩ জন এসেছেন। এদের মধ্যে ৩ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

আর যে তিনজন মারা গেছেন, তাদের মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। আহতদের অধিকাংশ লাফ দিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিলে দগ্ধ আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার বিটিসি নিউজকে বলেন, বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চারজন এসেছে। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে ৯০ শতাংশ পোড়া ছিল।

আহত অবস্থায় আরো তিনজন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে আবু হোসেন নামে একজন আছে তার পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। আরেকজনের নাম রেজোয়ান আহমেদ। তার শরীরে আঘাতসহ দগ্ধ আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাব্বির আহমেদ নামের আরেকজনের পায়ে কাচ ঢুকেছে ও শরীরে ফ্র্যাকচার আছে।

এছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া দগ্ধ এক শ্রীলঙ্কান নাগরিককে মৃত ঘোষণা করা হয়। ওই হাসপাতালে ৩০ জনের বেশি আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন।

এদিকে, ভয়াবহ এ আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগেই যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট। পরে সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটও উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।

আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের নিচে নামার চেষ্টা করছেন আটকে মানুষ। অনেকে বাঁচতে গিয়ে ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে   হয়েছেন।সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.