বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছিলেন : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‌‌‘ভাষা, সংস্কৃতি ও শিক্ষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে ২৪ বছর সংগ্রামের পর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর একেবারে শূন্য হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মাত্র সাড়ে ৩ বছরে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন, পোর্ট সচল করে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছিলেন।’
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‌‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজের নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ চোধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি ও কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন। কিন্তু ৭১’র পরাজিত ঘাতকেরা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণকে নসাৎ করার জন্য ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ২১ বছর বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ নাবিকবিহীন তরীর মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। বরং পেছনের দিকে চলেছে।’
পলক আরও বলেন, ‌‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ঘোষণা করেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ। তখন অনেকেই তা বিশ্বাস করতে পারেনি। সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন।’
বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে করোনাকালীন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিচারিক কাজ চলমান রাখা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রযুক্তি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.