বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার আহ্বান মেয়র লিটনের

 

:লীগ প্রতিবেদকজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সন্তান মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ শনিবার বিকেলে টিটি কলেজ মিলনায়তনে রাজশাহী মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত শোকবহ জেল হত্যাদিবস স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমার বাবা শহীদ কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতাকে বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে গড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় চার নেতাকে গড়েছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশমতো জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমরা জাতীয় চার নেতার ঋণ পরিশোধ করতে পারব না। ঋণ পরিশোধ করতেও চাই না। আমরা যাতে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার আদর্শ অনুসরণ করে চলতে পারি। আমরা যেন তাঁদের সেই আদর্শ থেকে পথভ্রষ্ট না হই। আজকের দিনে এটিই আমার কামনা।

মেয়র আরো বলেন, জাতীয় চার নেতা ছিলেন অতুলনীয়। তাঁরা ছিলেন বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিলো তাঁদের অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। দেশের জন্য তাঁরা ছিলেন অবিচল। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তাঁদের ভালোবাসার তুলনা নেই।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে আমরা বাংলাদেশ হয়েছি, এটি পাকিস্তান মেনে নিতে পারেনি, এখনো পারছে না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমাদের স্বাধীনতার অর্জন ম্লান করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। তার প্রমাণ পাওয়া যায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধু এবং কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে। সেই অপশক্তির অপতৎপরতা থেমে নেই। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান বলেন, জাতীয় চার নেতার মধ্যে প্রার্থক্য বের করা কঠিন। কারণ তারা সবাই অসাধারণ-অতুলনীয়। বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত বিশ^স্ত, ঘনিষ্ঠ ও ভালোবাসার পাত্র। তাঁরা যে বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার পাত্র ছিলেন, তা জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে কখনো বৈঈমানি করেননি। কিন্তু ১৯৭১ যারা পরাজিত হয়েছিলো, তারা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুছে ফেলতে চেয়েছিল। খুনীদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবার ভরসা হয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।তবে আমাদের সেই অপশক্তির ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমাণিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সঞ্চালনায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং জাতীয় চার নেতার জীবনী পাঠ করা হয়।#প্রেস বিজ্ঞপ্তি )#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.