বকশীগঞ্জে আলীরপাড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত না হয়ে ধান কাটার আহ্বান উপজেলা প্রশাসনের!


বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে কৃষক আবুল কাশেম দুলাল হত্যাকান্ডের
ঘটনায় গ্রাম ছাড়া এলাকাবাসীকে গ্রামে ফিরে তাদের পাকা ধান কাটার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করেন।
এ উপলক্ষে আলীরপাড়া মফিজ উদ্দিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করা হয়।
মতবিনিময়কালে আলীরপাড়া গ্রামের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে স্থানীয় প্রশাসন ওই গ্রামের জমির মালিকদেরকে ঘরে ফেরার আহ্বান জানান।
গত ২৭ এপ্রিল আলীরপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম দুলাল হত্যার ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের পর এলাকায় কিছু লোক গা ঢাকা দেয়। গ্রেপ্তার আতঙ্কে ও হামলার আশঙ্কায় জমির মালিকরা ধান কাটতে না আসায় পাকা ধান ক্ষেতের মধ্যেই পড়ে রয়েছে। বিষয়টি নজরে এলে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ আতঙ্কিত না হয়ে নির্ভয়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে জমির মালিকদের উদ্বুদ্ধ করেন।
স্থানীয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেন যে যারা মামলার আসামি নয় কিংবা জামিনে রয়েছেন তারা ধান কেটে নিয়ে যেতে পারেন। পাকা ধান কাটতে জমির মালিকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। ইতোমধ্যে ধানী জমির মালিকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লুৎফুন নাহার , সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতাউর রাব্বী, বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু, আলহাজ গাজী আমানুজ্জামান মডার্ন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী গাজী মো. আমানুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সাকা, সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মোকারেছ খোকন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আগা সাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম রানা, গাজী পরিবারের সদস্য গাজী মো. মাঈদুল হক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল আলীরপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন আবুল কাশেম দুলাল (৫৫) নামে এক কৃষক।
এঘটনার পর আতঙ্কিত ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছাড়েন এই গ্রামের কিছু মানুষ। এরপর থেকে জমিতে ধান কাটতে যায় নি কেউ।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা জানান, কৃষকরা ধান ফলিয়েছেন সেই ধান রাষ্ট্রীয় সম্পদ । উৎপাদিত ধান গুলো যেন নির্বিঘ্নে ঘরে উঠানো যায় সেদিক বিবেচনা করে পুলিশ পাহারায় স্থানীয়দের ধান কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি কৃষকদের নির্বিঘ্নে ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জি এম ফাতিউল হাফিজ বাবু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.