ফেসবুকে ভিডিও ভাইরালের পর মামলা, আটক-১

বরিশাল ব্যুরো: সম্প্রতি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে এক যাত্রীকে বেদম মারধর করেন ট্রলারের ইজারাদারের লোকজন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে (ভাইরাল হয়)।
পরে স্থানীয়দের সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে পুলিশের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দেওয়া হয় মামলা করার পরামর্শ। সে অনুযায়ী মামলার পর অভিযুক্ত ১ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে এখনও অভিযুক্ত চার জন আটক হয়নি।
জানা যায়, গত ১৯ জুলাই এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে ২০ জুলাই হামলার শিকার মুলাদী পৌরসভার বাসিন্দা রাসেল হাওলাদার বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ওই রাতে তুহিন সরদার নামের ১ জনকে আটক করা হয়। তার বাড়িও মুলাদীতে।
বাদী জানান, ঘটনার দিন খেয়া পাড়াপাড়ের ট্রলারযোগে মুলাদীর প্রান্ত থেকে বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে আসেন তিনি। ফেরিতে ওঠার আগে ট্রলারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশী ভাড়া দাবী করে ইজাদারের লোকজন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ট্রলারে ফেলে তাকে বেদম মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগী রাসেল হাওলাদার বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘মারধরের এক পর্যায়ে ট্রলারের যে স্থানে মেশিন থাকে সেখানে আমাকে ছুড়ে ফেলা হয়। এতেও সন্ত্রাসীদের মন ভরেনি। তারা লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি বিষয়টি মোবাইলফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এরপর মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও বাবুগঞ্জবাসী হামলার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে পড়লে তারা আমাকে খবর দিয়ে মামলা করতে বলেন। পরদিন ওই পাঁচ সন্ত্রাসীকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করি। এদের মধ্যে ১ জনকে পুলিশ আটক করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে। এখনও চার আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, এজাহারভূক্ত এক আসামীকে মামলা দায়েরের পরপরই আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাকি আসামীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এজাহারভুক্ত অপর আসামীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বরিশাল ব্যুরো প্রধান আল মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.