ফেব্রুয়ারী মাসে বাগাতিপাড়ার ফুল চাষীদের বাড়তি আয়ের স্বপ্ন

নাটোর প্রতিনিধি: থেকে ফেব্রুয়ারি মাস এলেই বাড়ে বিভিন্ন ফুলের চাহিদা। সে চাহিদা মাথায় রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ঠেঙ্গামারা গ্রামের ফুল চাষীরা। শেষ সময়ে ফুল পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসগুলোকে কেন্দ্র করে এবারো ফুল বিক্রি করে ভাল টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

স্থানীয় ও কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ঠেঙ্গামারা গ্রামের নারী-পুরুষরা ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বেশি লাভ হওয়ায় গ্লাডিওলাস ফুল চাষের দিকে বেশী আগ্রহ তাদের। গ্লাডিওলাস ফুল ছাড়াও রজনীগন্ধা, চেরী, গাঁদা, চায়না বেলি ফুলের চাষও করছেন তারা। এখানকার উৎপাদিত ফুল স্থানীয় চাহিদা পুরন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। তাছাড়াও এলাকায় ফুলের চাষ বেশী হওয়ায় গ্রামের বেকার যুবকসহ নারীদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মেয়েরা বেলী ফুলের মালা গেঁথে বাড়তি আয় করছে। এজন্য এই ঠেঙ্গামারা গ্রাম এখন ফুলের গ্রাম বলেই সর্বাধিক পরিচিত।

সরেজমিন ঠেঙ্গামারা ফুলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠ জুড়ে সারি সারি ফুলের গাছ। লাল, হলুদ, বেগুনী আর সাদা রঙের ফুল এবং সবুজ পাতায় মোড়ানো ফুলের অজস্র গাছ। পুরো মাঠ যেন তারার মেলা।

জমি পরিচর্যাকর্মী রাহেলা খাতুন বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ফুলের জমিতে কাজ করতে আমাদের ভাল লাগে। কম পরিশ্রম হয় এখানে। তাছাড়া ফুল দেখলে যে কারো মন ভাল হয়ে যায়। এই জন্য আমরা এখানে কাজ করি।’

ঠেঙ্গামারা গ্রামের ফুলচাষী জাহাঙ্গীর হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহায়তায় চার বছর আগে তিনিই প্রথম এ গ্লাডিওলাস ফুল চাষ শুরু করেছিলেন। এবারেও তিনি দেড় বিঘা জমিতে এই গ্লাডিওলাস ফুল তিন বিঘা জমিতে গাঁদা, ৩০ বিঘা জমিতে চায়না বেলি ফুলের চাষ করেছেন। বর্তমানে একটি গ্লাডিওলাস ফুলের স্টিক ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেড় বিঘা জমিতে মাত্র তিন মাসে শুধু গ্লাডিওলাস ফুল চাষ করে এ মওসুমে তিনি সব খরচ বাদে এক লাখ টাকা লাভের আশা করছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ভাল টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। আশা করছি চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের তিন দিবসকে কেন্দ্রে করে ভাল দাম পাবো। সারা বছরের চেয়ে এমাসে বাড়তি আয় হবে।’

বাগাতিপাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, চারা রোপনের তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই মিলছে ফুল। যা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন তারা। ফুল চাষ বৃদ্ধি করার জন্য আমরা প্রতি বছরই চাষীদেরকে বিভিন্ন ভাবে উৎসাহিত করে আসছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.