ফিফটি করেই সেঞ্চুরির আনন্দ শ্রেয়াসের

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতকে অলআউট করে দেওয়ার পর শ্রীলঙ্কাও ৩০ ওভারের মধ্যে হারিয়ে ফেলেছে ৬ উইকেট। দিনে যেখানে স্পিনাররা রাজ করেছে, সেখানে রাত হতেই দাপট দেখালেন পেসাররা। সবমিলিয়েই ব্যাঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম দিনেই পড়লো ১৬টি উইকেট।
এ থেকেই বোঝা যায়, চিন্নাস্বামি স্টেডিয়ামে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দিবারাত্রির টেস্টের উইকেট কতটা বোলিংবান্ধব। প্রথম দিনের খেলা শেষে তা স্পষ্ট করেই বলেছেন ব্যাট হাতে একমাত্র আলো ছড়ানো ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার।
দুই দলের বাকি সব ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে আক্রমণাত্মক ব্যাট করে ৯৮ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেছেন শ্রেয়াস। মাত্র ৮ রানের জন্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। তবে উইকেটের চরিত্র-কন্ডিশন বিবেচনায় এই ফিফটিতেই সেঞ্চুরির আনন্দ খুঁজে পেয়েছেন শ্রেয়াস।
প্রথম দিনের খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এই ফিফটিই সেঞ্চুরির সমান। যে কারণে আমি সেভাবেই উদযাপন করেছি। এটি আমার কাছে সেঞ্চুরি করার মতোই অনুভূতি।’
সবাই যেখানে ঠেকাতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন, সেখানে ১০ চার ও ৪ ছয়ের মারে নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন শ্রেয়াস। সুযোগ পেলেই খেলেছেন উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে, দেখিয়েছেন সুইচ হিট খেলার সাহসও। মূলত পিচের কারণেই এমনটা করতে হয়েছে তাকে।
এ বিষয়ে শ্রেয়াস বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, যখন কেউ ডিফেন্স করছিল তখন মনে হচ্ছিল ব্যাটের কানায় লেগে যাবে। কারণ উইকেটের বাউন্স ছিল অসমান। এই উইকেটে শুধু ডিফেন্স করে করে টিকে থাকা যাবে না, নেতিবাচক খেলা যাবে না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আপনাকে এখানে মাঠে ঢোকার পর থেকেই ইতিবাচক মানসিকতা দেখাতে হবে। কারণ এই উইকেট মোটেও ভালো নয়। এটি নিশ্চিত বোলিংবান্ধব উইকেট।’
সেঞ্চুরির আনন্দ হলেও সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা ঠিকই আছে শ্রেয়াসের। তবে দলকে আড়াইশ পার করাতে পারায় আর কোনো আক্ষেপ নেই তার।
শ্রেয়াস বলেন, ‘সেঞ্চুরি করতে পারিনি, অবশ্যই হতাশ। তবে দল হিসেবে আমরা ২৫০ ছাড়িয়েছি। এই উইকেটে ২৫০ রান লড়াকু সংগ্রহ। আমার কোনো আক্ষেপ নেই।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.