প্রস্তুত ঐক্যফ্রন্টের জনসভা মঞ্চ, আসছেন নেতাকর্মীরা

 

সিলেট ব্যুরো:  আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে সিলেটের রেজিস্ট্রি মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভা শুরু হবে। জনসভার জন্য মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে। ইতোমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। এতে প্রধান বক্তা থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দুইটার দিকে জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১১টার পর থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন জনসভা স্থলে। জনসভাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্য ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। দূর-দূরান্তের মানুষ বাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে জনসভাস্থলে জড়ো হচ্ছেন।

আজ বুধবার রেজিস্ট্রি মাঠ এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পুরো নগরী ছোট-বড় পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে ছেয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বেশ সক্রিয় দেখা যায়।

সকাল এগারটার পর থেকেই নেতাকর্মীর সমাবেশস্থলে আসছেন। ত্রিশোর্ধ্ব শহীদুল ইসলাম ও ষাটোর্ধ্ব মোহাম্মদ আলী সকাল থেকেই রেজিস্ট্রি মাঠের আশপাশে ঘুরছেন। দুজনের মাথায় সবুজ গোল টুপি, কাঁধে ঝুলন্ত ব্যাগ। হাতে বাঁশের একটি ত্রিভুজ আকৃতির স্ট্যান্ড। ওই স্টিকে নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড, পতাকা, মিনি ফেস্টুন, হাত ফিতা, কার্ড শোভা পাচ্ছে। এগুলোতে লেখা রয়েছে খালেদা জিয়ার সালাম নিন, ধানের শীষে যোগ দিন। ঐক্যফ্রন্টের জনসভা সফল হোক।

ষাটোর্ধ্ব মোহাম্মদ আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দেশে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। আমাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাগারে নেয়া হয়েছে। আর এই ক্রান্তিকালে কামাল হোসেন সাহেব হাল ধরছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার দাবিতে এই জনসভা। আমরা জনসভার সাফল্য কামনা করছি।’

সিলেটের জনসভার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘সরকার নানানভাবে চেষ্টা করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অগ্রগতি সাফল্য বাধাগ্রস্ত করতে। এজন্য গায়েবি মামলা দিচ্ছে। শেষ সময়ে এসে এগুলো কোনো কাজে আসবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ এই সংগ্রামের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকার, ভালো নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। সর্বপরি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত করা।’

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে সিলেট নগর পুলিশের পক্ষ থেকে। নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

সমাবেশে যোগ দিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এখন সিলেটে অবস্থান করছেন। সকালে সিলেটে পৌঁছে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

সকাল সাড়ে ছয়টায় হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা। এরপর তারা জিয়ারত করেন হযরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার। দুই মাজার জিয়ারতের সময় দেশ ও জাতির সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.