প্রধানমন্ত্রীর বরাবর কয়রাবাসীর পাচ দফা সুপারিশ সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ

খুলনা ব্যুরো: ভয়ংকর ঘুর্ণিঝড় আইলা ও আম্ফান বিধ্বস্ত খুলনার কয়রা উপজেলায় প্রশস্ত ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বানভাসি কয়রাবাসী।

আজ রবিবার (২৮ জুন)  দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দেয়া এই স্মারকলিপিতে ৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবী জানান এ জনপদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে ইকো-ট্যুরিজম এর সম্প্রসারণ এর লক্ষ্যে খুলনার পাইকগাছার সোলাদানা থেকে গড়ুইখালী ও গিলাবাড়ি হয়ে কয়রার কাঠকাটা লঞ্চ ঘাট পযন্ত সড়কটি মহাসড়কের মাস্টার প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
কয়রা উপজেলার আংটিহারার সাথে নৌ যোগাযোগ শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ পর্যন্ত বর্ধিত করা, আংটিহারাতে একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা, খুলনা শিপ ইয়ার্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কয়রার আংটিহারাতে পরিকল্পিতভাবে জাহাজ নির্মাণ বা মেরামত শিল্পের বিকাশ ঘটানো। শ্যামনগর এবং কয়রাকে একটি মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এনে প্রস্তাবিত টেকসই বেড়িবাঁধ কমপক্ষে ৪০-৪৫ ফুট প্রশস্ত করা, বাঁধের ভিতরে এবং বাইরে সামাজিক বনায়ন এবং কয়রা উপজেলায় ২১ টি স্লুইচ গেট নির্মাণ ও সংস্কারপূর্বক বর্ষাকালের মিঠাপানির সংরক্ষণ এবং লবণাক্ত পানি প্রবেশ সীমিত বা রোধ করণ।
স্মারকলিপিতে উপকূলবর্তী কয়রা ও শ্যামনগর উপজেলার একটি মেগাপ্রকল্প গ্রহণপূর্বক বাস্তবায়নের দাবিও জানানো হয়।
বলা হয়, বর্তমানে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে রাস্তায় ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। গৃহহীন হওয়া পরিবারগুলোর দ্রুত পূনর্বাসনের ব্যবস্থা, খাদ্য সহায়তা এবং সুপেয় পানির সরবারহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে ভেঙ্গে পড়ে কয়রা উপজেলার অর্থনীতি। সেসকল ক্ষতি না পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই গত ২০ মে আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। এতে কয়রা উপজেলার ১২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২১ টি স্থান ভেঙ্গে উপজেলার ৬৮ টি গ্রামের ৫১ হাজার ঘরবাড়ি, ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল, ১৫ হাজার গবাদি পশু এবং ৫ হাজার মৎস্য ঘেরসহ উপজেলার ১ লাখ ৮২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.