প্রথম ফোনকলে মিয়ানমার-চীন নিয়ে আলোচনা বাইডেন’র

(প্রথম ফোনকলে মিয়ানমার-চীন নিয়ে আলোচনা বাইডেন’র–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রথম ফোনকলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে চীন ও মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আজ বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) হোয়াইট হাউজ বলেছে, কিভাবে চীন পরিস্থিতি এবং মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করা যায় তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলেন জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক এবং বিশ্বে স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে অটুট থাকবে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক, মিত্রতা। তবে চীন ও মিয়ানমার ইস্যুতে জো বাইডেনের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন স্কট মরিসন।
অস্ট্রলিয়া ও চীনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা তুঙ্গে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে নাটকীয়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসনে আরোহন করেছে সামরিকজান্তা। দৃশ্যত, সামরিক জান্তার এই অভ্যুত্থানে চীনের মৌন সম্মতি আছে। কারণ, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে চীন ভেটো দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। যেহেতু তারা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্যের অন্যতম, তাই তাদের ভেটো দেয়ার ক্ষমতা আছে। একটিমাত্র দেশ ভেটো দিলে যেকোন প্রস্তাব দুর্বল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, সুচির বিরুদ্ধে গতকাল বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এসব অভিযোগে ১৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সুচি। সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন মুখপাত্র জানান, সু চির বিরুদ্ধে আমদানী-রফতানী আইনে অভিযোগ করা হয়েছে। সুচির বিরুদ্ধে বেআইনি যোগাযোগযন্ত্র রাখার অভিযোগও করেছে পুলিশ। যে এফআইআর পাওয়া গেছে, তাতে বলা হয়েছে, নেপিডোতে সুচির বাসভবনে অবৈধ ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে। অভিযোগে পুলিশ বলেছে, এসব অবৈধভাবে আমদানি করেছেন সু চি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারী) সকালে সুচি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করে অভ্যুত্থান ঘোষণা করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। (সূত্র: রয়টার্স)। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.