প্রতীক পেয়েই প্রচারনায় খুলনার দুই মেয়রপ্রার্থী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : প্রতীক পেয়েই কেসিসি নির্বাচনের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের মেয়রপ্রার্থীসহ অন্যান্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা গণসংযোগে নেমে পড়েছেন। আওয়ামীলীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক সকালে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মল্যদানের মধ্যদিয়ে এবং বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পিতা-মাতার কবর জিয়ারতসহ দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মোনাজাতের মধ্যদিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন।

বুধবার তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনী ইশতেহার দেবেন আর নজরুল ইসলাম মঞ্জু দেবেন বুধ অথবা বৃহস্পতিবার। প্রতীক পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর থেকেই উভয় প্রার্থীর পক্ষে মাইকিং শুরু হয়েছে নগরীতে। আওয়ামীলীগের মেয়রপ্রার্থী উন্নয়নের বার্তা নিয়ে আর বিএনপির মেয়রপ্রার্থী সবুজ নগরী গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগকালে সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন। তিনি বলেন, নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক ও উন্নয়নের প্রতীক।

প্রয়োজনীয় অর্থ থাকলেও গত ৫ বছর সামগ্রিক উন্নয়ন থেকে খুলনা মহানগরী পিছিয়ে পড়েছে অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে। নগরবাসী সব ধরণের নাগরিক সেবা থকে বঞ্চিত হয়েছে। আগামী ১৫ মে’র নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন মহানগরী গড়ে তোলার শপথ নেয়ার আহবান জানান তিনি।

এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র কাজি আমিনুল হক, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সোহেলসহ মহানগর, জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের, যুবলীগের ও ছাত্রলীগের নেতৃবন্দ।

এদিকে, সকালে ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে নির্বাচন অফিস থেকে বেরিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে নগরবাসী তাদের ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রিব হয়ে আছে। তাদের পছন্দের প্রার্থীকে পছন্দের প্রতীকে তারা ভোট দিতে চায়। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি থাকবে, অবাধু, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজেন সর্বাত্মক প্রস্ততি নিন।

মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা করুন। কালো টাকা, পেশী শক্তি ও দুর্বৃত্তরা যাতে কোন ধরনের প্রভাব ফেলতে না পারে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০ টায় তিনি নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে দোয়া মোনাজাত শেষে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী নিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন।

এসব কর্মসূচিতে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাতয়াত হোসেন, সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সাবেক এমপি সৈয়দা নার্গিস আলী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম রবি, খেলাফত মজলিসের মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, বিজেপির এ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, জামায়াতের মাওলানা গোলাম রসুল, পিপলস লীগের ডাঃ আফতাব হোসেন, বিএনপি নেতা আমীর এজাজ খান, মোল্লা আবুল কাশেম, জলিল খান কালাম, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু প্রমুখ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.