প্রচন্ড শীতে নৈশ প্রহরীসহ অসহায়ের গায়ে উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন ওসি

বিশেষ প্রতিনিধি: মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এই প্রতিপাদ্যকে যথারীতি সম্মান জানিয়ে রাজশাহী জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার, এবিএম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) এর সঠিক দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন মানবতাবাদী কাজ করে যাচ্ছেন তানোর থানা পুলিশ।
এর’ই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর তানোর থানার আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে, হাড় কাঁপানো শীতের মাঝে হাট বাজারে জানমাল রক্ষায় নিয়োজিত নৈশপ্রহরী’সহ বিভিন্ন অসহায় ও দুঃস্থদের উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে দিচ্ছিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান।
গত রোববার (৩১শে জানুয়ারী) ২০২১ ইং মধ্যো রাতে প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে ওসি রাকিবুল হাসানকে সঙ্গীয় সহকর্মী ইনস্পেক্টর (তদন্ত) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন’সহ থানার অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে রাত্রীকালীন ডিউটিতে তানোর থানা এলাকার বিভিন্ন বাজারের নাইট গার্ড ও দুস্থদের মাঝে শাীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করতে দেখা যায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তানোর থানার বিভিন্ন এলাকায় হাট-বাজারে ওসি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে নিজহাতে অসহায় মানুষদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিচ্ছেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে রাতে হাট-বাজারে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে-হেঁটে দোকান-পাট পাহারা দেওয়া ওই সকল নৈশ প্রহরীদের প্রচন্ড শীতে কষ্ট দেখে তিনি নিজেই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের গায়ে উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে দেন। পাশাপাশি নিজস্ব দায়বদ্ধ থেকেই সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় জনগোষ্ঠীর মাঝেও তিনি এই শীতবস্ত্র গুলো বিতরণ করে যাচ্ছেন।
ওসি রাকিবুল হাসানের এ মহানুভাবতায় নৈশ প্রহরীদের মনে সাহস ও উদ্দীপনায় বলিয়ান ভুমিকার সৃষ্টি হচ্ছে। তানোর থানা এলাকার বিভিন্ন বাজারের নৈশ প্রহরীদের সাথে কথা হলে তারা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, কয়েকদিন থেকে শীত বেড়ে যাওয়ায় বাজার পাহারা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছিলো। এই সময় ওসি স্যারের মহানুভবতায় প্রচন্ড শীতর মাঝে কম্বল পেয়ে আমরা অনেক খুশি। বর্তমানে উষ্ণতার পরশ হয়ে কম্বলটি আমাদের শীতের কষ্ট লাঘব করছে।
উল্লেখ্য, তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান ইতোমধ্যেই একজন মানবতাবাদী ও মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে তানোরের আপামর জনতার কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। বিশেষ করে মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে প্রথমেই তানোর থানা এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে গণসচেতনতা শুরু করেন তিনি। সচেতনতার পাশাপাশি স্বাধ্যমতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী’সহ করোনা প্রতিরোধের সরঞ্জামাদিও বিতরণ করে গেছেন। এ ছাড়াও ওসি রাকিবুল হাসান দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে একের পর এক থানা কম্পাউন্ডের পূর্বের জরাজীর্ণ চিত্রটিই পাল্টে গেছে।
বর্তমানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে থানার ভেতরে তিনি নিজহাতে লাগিয়েছেন ফলজ গাছ, সংস্কারের মাধ্যমে তৈরী করেছেন চলাচলের নতুন রাস্তা, গাড়ি পার্কিং-এর গ্যারেজ, অফিসারদের রুম সংস্কার, সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন, করোনা কালীন থানার অফিসারদের প্রবেশ রুমের সম্মুখেই লাগানো হয়েছে ব্রেশিং, বিশুদ্ধ পানি পানের সু-ব্যাবস্থা’সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ।
বর্তমানে থানার ভেতরের পরিবেশ দেখলেই বোঝা যায় কতোটা পরিবর্তন এনেছেন তিনি। অপরদিকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুবসমাজকে বাঁচতে নিত্যদিন চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান। মূলত এসকল কাজের দরুন তিনি দিনে দিনে তানোর বাসির কাছে প্রিয় মানুষ হেয়ে উঠেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.