পুলিশের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ : রাজশাহীতে জমি ফিরিয়ে চাওয়ায় উল্টো কৃষকের নামে মামলা!


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অবৈধভাবে দখলকৃত কৃষকের জমি ফিরিয়ে চাওয়ায় উল্টো ওই কৃষকের নামে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া কৃষককে এলাকা ছাড়া করতে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন ও কৃষকের পক্ষ নেয়ায় এলাকাবাসীর ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ করার অভিযোগও উঠেছে।

আজ বুধবার (০৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কৃষক মো. মখলেশ নিজেই এসব অভিযোগ করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৩ সালে উপজেলার চাঁদগোবিন্দপুর এলাকায় একই উপজেলার কুমারপাড়া এলাকার কামেজের ছেলে মো. সানাউল্লাহর কাছ থেকে ক্রয়কৃত ২ বিঘা ১৮ শতক জমি ২০১৭ সালে দখল করে নেয় প্রাণ কোম্পানি। সেসময় পুলিশ দিয়ে তাকে আটক করিয়ে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়।

২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন গোদাগাড়ী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. লতিব তার বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে তাকে ধরে থানায় আটকে নির্যাতন করেন। এদিকে জমিটি কাটা তারের বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির গোপালপুর শাখার ম্যানেজার মেহেদী হাসান আবারো হুমকি-ধামকি প্রদর্শনপূর্বক স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় তার ওপর হামলা চালান।

মো. মখলেশ বলেন, জমি ফিরে পেতে ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৯ অক্টোবর রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এরপর গত ২৪ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন ও একই মাসের ৩১ তারিখে মানববন্ধন করা হয়। তবুও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং গত সোমবার (২ নভেম্বর) থানার এসআই আব্দুর রউফের নের্তৃত্বে পুলিশ স্থানীয়দের ওপর লাঠিচার্জ করে ও জব্দের নামে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।

এদিকে প্রাণ কোম্পানি জমি ফিরিয়ে না দিয়ে ওইদিন উল্টো আমার বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তারা নতুন মাত্রায় হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার স্ত্রী চরম হুমকির মুখে রয়েছি। নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক জমি ফিরে পেতে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কৃষক মখলেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তবে ওই জায়গায় কৃষক মো. মখলেশের কোনো জমিই নেই বলে দাবি করেছেন প্রাণ কোম্পনির গোপালপুর শাখার ম্যানেজার মেহেদী হাসান। এ বিষয়ে থানা পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে জানতে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি খাইরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি সাইদুর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.