পুজোর আগে আপনার চুলের স্টাইল বেছে নিন

 

বিটিসি নিউজ ডেস্কপুজোর আগে হাল ফ্যাশনের জামাকাপড়ের সঙ্গে সঙ্গে চাই মানানসই চুলের স্টাইলও। কারণ, চুলের স্টাইলে বদল এনে সহজেই বদলে ফেলা যায় চেহারাও। তাই যে উত্সবের মরসুমে আপনার সারা বছরের সাধারণ হেয়ারকাট দূরে সরিয়ে রেখে, মুখের আদলের সঙ্গে মানিয়ে কেটে ফেলুন ট্রেন্ডি ইউনিক হেয়ারকাট। চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী হেয়ারকাট নির্বাচন করাটা চুলের স্টাইলের প্রাথমিক শর্ত। তবে এরই সঙ্গে চুলের স্টাইল বদলে ফেলতে হেয়ারকাট পছন্দ করার ক্ষেত্রে তা মুখের আদলের সঙ্গে মানাচ্ছে কিনা, দেখে নেওয়া জরুরি। এ বার দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি দুর্দান্ত হেয়ারকাট যা পুজোয় আপনাকে করে তুলবে আরও আকর্ষণীয়।

১) কার্লি বব: ছোট চুলের যে কোনও দৈর্ঘেই (লেন্থ) এই হেয়ারকাটটি মানিয়ে যায়। যাদের চুল খানিকটা কোঁকরানো, তাদের এই হেয়ারকাট আরও বেশি মানাবে। মাঝখানে কিংবা পাশে যে কোনও জায়গায় সিঁথি করে নেওয়া যায়।

২) উইস্পি ব্যাং: লম্বা চুলে আনুন ‘কুল লুক’। সামনে লাইট ফ্রিঞ্জ কেটে নিয়ে বাকি চুলটা দু-তিনটে স্টেপ কেটে নিন। খোলা চুলের স্টাইলের জন্য দুর্দান্ত এই হেয়ারকাট।

৩) সাইড ব্যাং: লম্বা চুলের জন্য এই হেয়ারকাটটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনার স্টাইলিংয়ের উপর। আপনি যে ভাবে ইচ্ছে স্টাইলিং করতে পারেন। চুল খোলা রাখতে চাইলে একদিকে লক্স ঝুলিয়েও রাখতে পারেন।

৪) বেবি ব্যাংস: ছোটবেলায় এই হেয়ারকাট আমরাই সকলেই কমবেশি কেটেছি। কারণ, সামনে ছোট ছোট ফ্রিঞ্জেস প্রত্যেক মেয়েরই থাকত। ছোটবেলার সেই হেয়ারকাট আবারও ফিরিয়ে আনা যেতেই পারে। এই হেয়ারকাটে চেহারার বয়স এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে নেওয়া যায়।

৫) অ্যাঙ্গুলার ব্লান্ট কাট: সাধারণত ঘার অবধি সোজা চুলের জন্য এই হেয়ারকাট উপযুক্ত। তবে এই হেয়ারকাটে মাঝখানে সিঁথি করা একেবারে চলবে না। হেয়ারকাটটি করার সময়ই যে কোনও এক পাশে সিঁথি করতে হয়। তাই জন্যই এটাকে অ্যাঙ্গুলার ব্লান্ট কাট বলে।

৬) রেজার শার্প: যাদের চুলের ঘনত্ব বেশি, এই হেয়ারকাটটি তাদেরই মানায়। চুলের আগাটা আসলে কাটা হয় রেজার দিয়ে বা ওই ভাবেই সমান করে কাটা হয়। এই হেয়ারকাটে তেমন লেয়ারস থাকে না।

৭) ওয়েভি লব: লম্বা হোক বা ছোট, এই হেয়ারকাটটি যে কোনও রকমের চুলের ক্ষেত্রেই মানানসই। চুল পাতলা হোক বা ঘন, সব রকম চুলেই মানাবে ওয়েভি লব।

৮) ক্লাউড রিংলেটস: ঘারের নীচ অবধি লম্বা চুলের জন্য এই হেয়ারকাটটি উপযুক্ত। বিশেষত কোঁকরানো চুলেই ক্লাউড রিংলেটস বেশি মানানসই। আপনি চাইলে হেয়ার কার্লার দিয়ে চুল হাইলাইটস করে নিতে পারেন।

৯) ফাজি ফ্রিঞ্জ: বেবি ব্যাংস এবং ফাজি ফ্রিঞ্জ কিছুটা একই রকমের। তবে এই হেয়ারকাটের বিশেষত্ব হল, মাথার পেছনে ঘারের দিকের চুল একটু লম্বা থাকে। এই হেয়ারকাট সব বয়সেই মানেবে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.