পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নে মিয়াপুর গ্রামের  নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আরমান হোসেন (২৮) নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।  একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মো: মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরমান হোসেন সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ খানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আরমান হোসেন বিভিন্ন সময় ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। সে মেনে না নেওয়াতে অনেক সময় রাস্তাঘাটে হুমকি-ধামকি দিতো। নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় সে এক পর্যায়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গ্রাম প্রধানদের আঁশ্বাসে সে স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এমন সময় ২০২২ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখ সকাল ৯ টার দিকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় পুর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা যুবক আরমান তাকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে। এরপর তাকে জোরপূর্বক  ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পাওয়াতে পরিবার থানা পুলিশের স্বনাপন্ন হোন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার ৪দিন পর তার বাবা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষ প্রমাণ শেষে ২০২৩ সালের শেষের দিকে চার্জশীট গঠন হয়। আজকে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, পাবনা জজকোর্টের বিশেষ পিপি খন্দকার আব্দুর রকিব। তিনি বলেন, মামলার দুই বছরের মাথায় রায় ঘোষণা হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। যাবজ্জীবন সাজা হওয়াতে বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছে। তবে এখানে সাজা কমে যাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান নোমান বিটিসি নিউজকে বলেন, এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেওয়াতে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্জিত হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আপিলে ন্যায়বিচার পাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম / পাবনা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.