বিটিসিআন্তর্জাতিকডেস্ক: ট্যাংক, যুদ্ধযান, আকাশ প্রতিরক্ষা, রকেট, ড্রোনসহ অত্যাধুনিক সব পশ্চিমা যুদ্ধ সরঞ্জামে ফুলেফেঁপে উঠেছে ইউক্রেন। সর্বশেষ লেপার্ড-২ ট্যাংকপ্রাপ্তি নিয়ে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয় কিয়েভকে। গলদঘর্ম শেষে সেখানেও সফল। লেপার্ড পাঠাবে কিনা তা নিয়ে দোলাচলে থাকা জার্মানিও বুধবার সম্মত হয়েছে।
একই দিনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, ট্যাংক পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রও। ইউক্রেনের ভাড়ারে আসা এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধব্যঞ্জন। ন্যাটো সমরাস্ত্রের শিরোমণি। বসন্তের মাঝামাঝিতেই একসঙ্গে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠাবে জার্মানি। তবে এখনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণের ইঙ্গিত দেয়নি ওয়াশিংটন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি দেশ সামরিক সহায়তা দিয়েছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে সম্প্রতি সেই তালিকার খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে।
ট্যাংক: পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে এ পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি টি-৭২ ট্যাংক পেয়েছে ইউক্রেন। জার্মানি দিচ্ছে লেপার্ড-২ ট্যাংক। শক্তিশালী লেপার্ড-২ ট্যাংকটি চাওয়ার কারণ সহজ রক্ষণাবেক্ষণ আর তুলনামূলক কম জ্বালানি। আরও আছে চ্যালেঞ্জার-২। ১৯৯০ সালে নির্মিত এই ‘মৃত্যুদূত’ এখনো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রধান যুদ্ধট্যাংক। রণক্ষেত্রে ইউক্রেনের দুর্ধর্ষ যোদ্ধা হিসাবে তৈরি করতে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক দিতে সম্মত হয়েছে ব্রিটেন।
এ ছাড়াও ৩১ টি আব্রামস ট্যাংক দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ঘোষণার সময় বাইডেন বলেন, এখনো পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ট্যাংক এটি।
সাঁজোয়া যান: ইতোমধ্যেইবেশ কিছু সাঁজোয়া যান পেয়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে কিছু দিনের মধ্যেই আরও ৯০টি স্ট্রাইকার সাঁজোয়া যান পাঠাবে দেশটিতে। এ ছাড়াও ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত ৫৯টি ব্র্যাডলি পদাতিক ফাইটিং সাঁজোয়া যান পাঠানোর ঘোষণাও দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
আকাশ প্রতিরক্ষা: আকাশ প্রতিরক্ষায় শুরু থেকে সোভিয়েত যুগের এস-৩০০ ব্যবহার করে আসছে ইউক্রেন। তবে গত ডিসেম্বরে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি জার্মানি আর নেদারল্যান্ডসও আকাশ প্রতিরক্ষায় ইউক্রেনকে সহায়তা করার কথা দিয়েছে। প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পরিচালনা বেশ ব্যয়বহুল।
ড্রোন: লক্ষ্যবস্তুতে হামলা, সরঞ্জাম উত্তোলন, নজরদারিতে ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করছে ইউক্রেন। তুরস্ক সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেনের কাছে ‘বায়রাকতার টিবি-২’ নামের সশস্ত্র ড্রোন বিক্রি করেছে।
হাউইটজার: ইউক্রেনে উন্নত এম-৭৭৭ হাউইটজার কামান ও গোলাবারুদ পাঠানো দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র।
ট্যাংকবিরোধী অস্ত্র: এক আঘাতেই ট্যাংক ধ্বংসে সক্ষম অস্ত্রও সরবরাহ করা হয়েছে ইউক্রেনে।
দূরপাল্লার রকেট: ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো দূরপাল্লার রকেট লঞ্চারের মধ্যে রয়েছে ‘হিমার্স’। বেশ কয়েকটি অন্যান্য ইউরোপীয় দেশও একই ধরনের অস্ত্র পাঠিয়েছে ইউক্রেনে।
গত বছরের নভেম্বরে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চল খেরসন থেকে রুশ বাহিনীকে পিছু হটাতে সাফল্যের মূল কারণ ‘হিমার্স’ ছিল বলে মনে করা হয়। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.