গাজার দুর্দশা ও এবারের হজ নিয়ে যা বললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অন্যান্য ইসলামি দেশগুলোর জন্য অপেক্ষা না করে ফিলিস্তিনের প্রতি ইরানের অটল সমর্থনকে পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটি ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, এই বছরের হজ হবে গাজার বিরুদ্ধে সংঘটিত জঘন্য অপরাধ থেকে অস্বীকৃতির বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, এই বছর গাজার উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর মাধ্যমে পশ্চিমা সভ্যতার রক্তচোষা চিত্র আরও বেশি উন্মোচিত হয়েছে। এই বছরের হজে গাজার জনগণের অবস্থার ওপর বিশেষ দৃষ্টি থাকবে।
তিনি বলেন, গাজার বর্তমান ঘটনা ইতিহাসের একটি বড় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলা যায়। একদিকে উন্মত্ত ইহুদিবাদী কুকুরের বর্বর আক্রমণ, অন্যদিকে গাজাবাসীর প্রতিরোধ ও নিপীড়ন ইতিহাসে লেখা থাকবে। ফিলিস্তিনের এই ত্যাগ মানবজাতিকে পথ দেখাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের অনেক অমুসলিম শিক্ষার্থী গাজার ঘটনায় ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, যারা মুসলমানদের হত্যা করে এবং তাদের বাস্তুচ্যুত করতে বাধ্য করে; তাদের সমর্থকরাও নিপীড়নকারী। কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াত অনুসারে, কেউ যদি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, তারাও অত্যাচারী এবং আল্লাহর অভিশাপে অভিশপ্ত।
আয়াতুল্লাহ খামেনি জোর দিয়ে বলেন, অবশ্যই ইরান কারও (ব্যবস্থা নেওয়ার) জন্য অপেক্ষা করেনি এবং করবে না। তবে শক্তিশালী মুসলিম দেশ ও সরকারগুলো যদি একত্রিত হয় এবং (এই প্রচেষ্টাকে) সহায়তা করে, তবে ফিলিস্তিনিরা যে শোচনীয় অবস্থার মধ্যে রয়েছে তার অবসান হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.