পল্লী বিদ্যুৎ’র অনুমান নির্ভর বিলে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ !

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরনখোলায় পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) কর্তৃপক্ষের অনুমান নির্ভর বিদ্যুৎ বিল অনেকটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্নীঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত শরণখোলার গ্রাহকদের কাছে। গ্রাহকদের নিকট পবিসের সরবারহ কৃত বিলের সাথে মিটার রিডিং এর কোন মিল নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে বিল ২/৩ গুন ও করা হয়েছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮০ দশকে এ অঞ্চলে পিড়িপির বিদ্যুৎ সেবা শুরু হয়। যা পরবর্তীতে পল্লী বিদ্যুৎতে রুপান্তিত হয়। বর্তমানে উপজেলা জুড়ে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে মিটার রিডিং না দেখে একত্রে তিন মাসের ভৌতিক বিল গ্রাহকদেও মাঝে সরবারহ করলে সেবার মান নিয়ে হৈ-চৈ পড়ে উপজেলা জুড়ে।

শরনখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের বাসিন্দা মোঃ বাবু হাওলাদার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পূর্বের চেয়ে আমার ঘরের বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ করা হয়েছে এবং বিল কাগজের সাথে মিটার রিডিং এর কোন সম্পর্ক নেই।

একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ শহিদুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এপ্রিল মাসের বিল কাগজ হাতে পেয়ে দেখি ১৯০ ইউনিটের বিল করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত মিটারে ১৮০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়নি । এখন অতিরিক্ত বিলের টাকা কে দেবে?

এছাড়া প্রবাসী রিপন হাওলাদারের স্ত্রী এবং বাজার ব্যাবসায়ী ইউনুচ আকন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, করোনার কারনে “আমাদের বাড়ি ও দোকান প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল তার পরেও বহু টাকা বিল দিয়ে গ্যাছেন এখন তা পরিশোধ করব কি ভাবে?

মান্নান মার্কেটের পরিচালক মোঃ হেলাল তালুকদার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, অনুমান ভিত্তিক বিলের কারনে আমার বাসা-বাড়ি ও মার্কেটের বিল অন্য মাসের তুলনায় দ্বিগুণ ধরা হয়েছে যা অনিয়মের শামিল।

খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা শিরিন আকতার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার বাড়ির এপ্রিল মাসের বিল কাগজে মিটার রিডিং ধরা হয়েছে ৪৪০ ইউনিট কিন্তু বিল হাতে পাবার পরে মিটারের সাথে মিলিয়ে দেখি ২৩৫ ইউনিট।

তবে, এ বিষয়ে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শরনখোলা অফিসের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এ জি এম আশিক মাহামুদ চৌধুরী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন , করোনা মহামারীর কারণে অন্য মাসের বিলের সাথে তুলনা করে অনুমান ভিত্তিক বিল করা হয়েছে। কারো বিলে অতিরিক্ত ইউনট লেখা হলে তা অফিসে নিয়ে আসলে সংশোধন করে দেয়া হবে। এছাড়া কেউ বিলের টাকা বেশি দিয়ে থাকলে পরিস্থিতির উন্নতি হলে তা পরবর্তী সমন্বয় করা হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.