গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠের বাজার আবুবকর ফাজিল ( ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম ও নিয়োগ বানিজ্যের প্রতিবাদে মাদ্রাসার গভনিং বডির ৩ জন নির্বাচিত সদস্যর সংবাদ সম্মেলন।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নাজমুল হক প্রধান জানান,আদালতের আদেশকে তোয়াক্কা না করেই নাম মাত্র পরিক্ষা দেখিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছে ঐমাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
১৮ জন বৈধ আবেদনকারীর কাগজপত্রাদি আদালতে জমা নেয়ার পরেও ১৩ জন প্রার্থী বৈধ দেখিয়ে ২০২৩ সালের ২৭শে জানুয়ারি শুক্রবার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী এ দুই পদের জন্য লোক দেখানো নিয়োগ পরিক্ষা নেয়া হয়।
আর একারণেই মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে পলাশবাড়ী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে, ২৩১/ ২২ নং মামলা চলমান রয়েছে এবং বৈধ প্রার্থীদের মূল দরখাস্ত,ব্যাংক ড্রাফট, রেজুলেশন বহি, নোটিশ বহিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অত্র আদালতে জব্দ রয়েছে।
এদিকে নিয়োগ পরীক্ষায় চারজন ভূয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার সময় একজন পরীক্ষার্থীর ভাই এবং একজন পরীক্ষার্থীর বাবা পরীক্ষার হলে উপস্থিত থাকার অভিযোগ তোলেন অন্য পরীক্ষার্থীরা ফলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে পরীক্ষার্থী মোঃ মাহমুদুল হক বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয় চারজন ভূয়া পরীক্ষার্থী। শুধুমাত্র ফটোকপি কাগজের উপর ভিত্তি করে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
সুচতুর অধ্যক্ষ উক্ত বিষয়গুলো ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন যাহা মিথ্যা ভিত্তিহীন। আমি আপনাদের মাধ্যমে অধ্যক্ষের নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ডিজির প্রতিনিধি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাহফুজা ইয়াসমিন জানান, আমাকে জানানো হয় মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। মূল কাগজপত্র যে আদালতে আছে এটি আমি জানতাম না। মূল কাগজপত্র না পাওয়া পর্যন্ত নিয়োগ দিতে সুপারিশ করা হবে না।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.