পলাশবাড়ীতে ইচ্ছা করে আলুর দাম বৃদ্ধি: ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ, ভোক্তাধিকারের হস্তক্ষেপ কামনা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ইচ্ছা করে আলুর দাম বৃদ্ধি করেছে কিছু ব‍্যবসায়ী ও স্টোর মালিকেরা। অনেকেই জানান, স্টোর মালিকদের মধ্যেই অনেকে করছেন আলুর ব‍্যবসা।
হাজার হাজার বস্তুা আলু মজুদ থাকায় তাদের সিদ্ধান্তেই ঠিক হয় আলুর বাজার। সেই সঙ্গে স্টোরের সামনে বসে থাকা মধ‍্যস্বত্বভোগীদের কারণে এক হাত বদলেই কেজিতে ৫/৬ টাকা বেড়ে যায় আলুর দাম।
এদিকে এত আগেই দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
এবছর পলাশবাড়ী উপজেলায় ব‍্যাপক আলু উৎপাদন হয়েছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে।অথচ মাত্র খুব অল্প সময়েই ১৫/২০ টাকার আলুর দাম ঠেকেছে ৩৫/৩৬ টাকায়। কোথাও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর স্থানীয় জাত লাল পাকড়ি (যাকে গ্রামের ভাষায় খাখরাই বলে) তার দাম খুচরায় ঠেকেছে ৫০ টাকায়।
ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিত‍্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে ক্রেতা বিশেষ করে মধ‍্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।
সাধারণ ক্রেতারা বিটিসি নিউজকে জানান, এরকম সময়ে আলুর কেজি ২০/২৫ টাকা। আর এখন কিনতে হচ্ছে ৩৫/৩৬ ও ৫০ টাকায়। আমাদের জন‍্য খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ব‍্যবসায়ীদের দাবি কোল্ড স্টোর থেকেই কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। আলুর বিকল্প কচু,লাউ,কুমড়ার দাম বেশি থাকার প্রভাবও পড়েছে আলুতে। সাধারণ ক্রেতাদের দাবী মধ‍্যস্বত্বভোগী, কোল্ড স্টোরের মালিকের পাশাপাশি আলুর ব‍্যবসা করছেন যারা, তাদের কারসাজিতেই বাড়ছে আলুর বাজার। জেলা ভোক্তা অধিকার যদি এদের ওপর কড়া নজর রাখেন তাহলেই আলুর দাম কমে আসবে বলে তাদের ধারণা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মো: শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.