পর্যটক আকর্ষণে থাইল্যান্ডে শুরু হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন-ফ্রি ভিসা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ককরোনাভাইরাসের কারণে থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই খাত পুরুনুজ্জীবিত করতে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার। এর আওতায় ফেব্রুয়ারি থেকে কোয়ারেন্টাইন-ফ্রি ভিসা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে পর্যটন শিল্পে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোতে এই নীতি বেশ কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। এই নিয়মে কোনো পর্যটককে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তবে এর জন্য পর্যটকদের বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন সনদ দেখাতে হবে।
থাইল্যান্ডে আজ মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে এই কোয়ারেন্টাইন-ফ্রি ভিসা সেবা। সরকারের আশা, নতুন এই নিয়মে ফেব্রুয়ারিতে ২ থেকে ৩ লাখ পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণে আসবেন। যা পরবর্তি মাসগুলোতে আরও বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শুধু ৬০টি দেশের নাগরিকদের থাইল্যান্ড ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। নতুন নিয়মে নির্দিষ্ট কোনো রাষ্ট্রের নাম থাকছে না। শুধু ভ্যাকসিন সনদ থাকলেই সেখানে ভ্রমণ করা যাবে। নতুন এই নীতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘থাই টেস্ট এন্ড গো মডেল’।
এ প্রসঙ্গে থাই হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মারিসা সুকোসোল নুনভাকদি জানান, নতুন এই নীতি পর্যটন খাত পুনুরুজ্জীবিত ও জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ভারসাম্য রক্ষা করবে। আমাদের মানুষের মনে বিশ্বাস তৈরি করতে হবে যে, বিদেশী পর্যটকদের কারণে সংক্রমণের কোনো শঙ্কা নেই। যদি বিদেশীরাও এই নীতি নিয়ে ইতস্তত বোধ করেন, তাহলে তাদের ‘থাই টেস্ট এন্ড গো মডেল’ দেখে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
থাইল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র থানাকর্ন ওয়াংবুকোংচানা জানান, চলতি বছর ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০ লাখ পর্যটক থাইল্যান্ডে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি চীন ও ভারতের পর্যটকরা আসতে শুরু করে তাহলে সেই সংখ্যা বেড়ে ৯০ লাখ হতে পারে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.