পর্দা নামলো ১০ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবের

রাসিক প্রতিবেদক: নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো ১০ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৯ এর।

আজ মঙ্গলবার রাতে নগরভবন চত্বরে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবের সমাপনী দিনে ছিল গণহত্যা ও ২৫ মার্চ বিষয়ক প্রদর্শনী, স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, নৃত্য, সঙ্গীত।

এই উৎসবের উদ্যোক্তা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সন্তান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

সমাপনী দিনে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন হবে। এই উদ্যাপনের প্রস্তুতি হিসেবে ১০দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। আগামীতে আবারো ১০ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উদ্যাপন করা হবে। আর মুজিববর্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

মেয়র আরো বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সকল অপশক্তিকে রুখে দেওয়া সম্ভব, মানুষের মন পবিত্র হয়। শুধু উন্নয়ন করলে হবে না, সঙ্গে মানুষের মনকেও পরিস্কার করতে হবে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে লেখক, শিক্ষা ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে রাজনীতির পরোম্পরায় সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তাঁর চার সহচরকে হত্যা করা হয়েছে।

গণহত্যা নিয়ে যদি রাজনীতি না হতো, তাহলে হয়তো তাঁদের শহীদ হতে হতো না। গণহত্যার রাজনীতি এই মানুষগুলোকে বাঁচতে দেয়নি। বাংলাদেশে ধর্মের নামে যত মানুষ হত্যা হয়েছে, পৃথিবীতে আর কোন জাতিতে এমন হয়নি। আমরা এমন এটা জাতি যারা, যারা গণহত্যার রাজনীতিকে উৎসাহ দিয়েছি।

সকল অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন আরো বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বিএনপি এমনটা দল, যারা গণহত্যাকে সমর্থন দিয়েছে। আর মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর ভুমিকা কী ছিল সেটা সবাই জানেন। দুঃখের বিষয় এদেশে আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করতে দেই।

বিএনপি- জামায়াত গণহত্যা নিয়ে রাজনীতি করে। রাজশাহীসহ সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিরোধ-প্রতিহত করতে হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।

রাজশাহীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি দেশের অনেক অঞ্চল ঘুরেছি। সব শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে রাজশাহীকে। আমি মানুষের কাছে জানতে চেয়েছি এমন পরিচ্ছন্ন শহর কে গড়েছে, সবাই বলেছেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের কথা।

উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরেক সম্মানিত অতিথি ছিলেন কবি আসাদ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উৎসব

#( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.