গোপালগঞ্জে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে বিক্ষোভ : এক পুলিশসহ আহত ১০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগে পরাজিত দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা  আবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ ও অন্তত নয়জন আহত হন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিটিসি নিউজকে জানান, আজ সকাল থেকে সদর উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহামুদ হোসেন মোল্লার সমর্থকরা গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের বিভিন্নস্থানে গাছ কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

সড়কে টায়ার জ্বালানোয় ও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  যানজটে আটকা পড়ে অসংখ্য গাড়ি।

পরে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে  আন্দোলনকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উপায় না দেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ২১০টি গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বাদল নামের সদর থানার এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।

এদিকে প্রথম পর্যায়ের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনলেও বিক্ষোভকারীরা সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন। পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বেদগ্রাম এলাকাতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সে সময় মহাসড়কের দুইপাশে দূরপাল্লার বাসসহ বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখান গিয়ে বেরিকেড তুলে দিলে মহাসড়কে আবারও যানবাহন চলতে শুরু করে।

অন্যদিকে একই সময়ে আরেক পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম শাহ আলমের হাজার হাজার সমর্থক সদর উপজেলার উলপুর থেকে বৌলতলী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক অবরোধ করে রাখে। তারাও রাস্তার পাশের অসংখ্য বড় গাছ কেটে বেরিকেড দেয় এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ঘটনাস্থলে গেলেও পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া ও গোপালগঞ্জ-টেকেরেহাট আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ এখনো অব্যাহত আছে।

এর আগেও গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত  এ দুই সড়কের চারটি স্থানে মাহামুদ হোসেন মোল্লা ও এস এম শাহ আলমের সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে।

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বিটিসি নিউজকে জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে র‍্যাব, বিজিবি, এপিবিএনসহ পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

গত রোববার পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ শেষে গোপালগঞ্জ সদরে চেয়ারম্যান হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই পরাজিত অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হতে থাকে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি শাফিউল কায়েস।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.