পর্দা উঠছে ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শিপের

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: আগামীকাল শুক্রবার (১১ জুন) রাতে তুরস্ক-ইতালি ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের। এবারের আসরের ডার্ক হর্স ধরা হচ্ছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। যার কারণ তাদের খেলার ধরণ। চিরায়ত রক্ষণাত্মক কৌশল বদলে রবার্তো মানচিনির অধীনে খোলনলচে পাল্টে গেছে পুরো দল। ইউরোর আগে ইতালি দলের বিস্তারিত থাকছে প্রতিবেদনে।
বিশ্ব ফুটবলের পরাশক্তি ইতালি। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা একবার জিতেছে ইউরোপ সেরার ট্রফি। তবে সেই স্মৃতিও যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। ১৯৬৮ সালে সবশেষ ইউরো জিতেছিলো আজ্জুরিরা।

এরপর আরও ৮ আসরে খেলেছে ইতালি। এক যুগের ব্যবধানে দু’বার ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি।

সবশেষ ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনালে থেমেছিলো ইতালির যাত্রা। এরপর বাছাইপর্ব পার করতে না পারায়, খেলা হয়নি ২০১৮ বিশ্বকাপেও। এই বিপর্যয়ের পরই যেন টনক নড়ে ইতালির ফুটবল কর্তাদের। পরিবর্তন আনা হয় দলের বিভিন্ন জায়গায়। ইংল্যান্ড, ইতালি, তুরস্কের ঘরোয়া ফুটবলে অজস্র শিরোপা জেতা রবার্তো মানচিনিকে দেয়া হয় দায়িত্ব। আর সাবেক এই ফুটবলার তার নতুন দর্শনে পাল্টে দেন ইতালি দলকে।

ইতালি দল মানেই অতিরক্ষণাত্মক কৌশল। তবে সে ধারায় পরিবর্তন আনেন মানচিনি। তার অধীনে ইতালি খেলছে আক্রমণাত্মক দৃষ্টিনন্দন ফুটবল।

কিছু পরিসংখ্যানে যা স্পষ্ট হবে। ২০১৮’র মে মাসে মানচিনি দায়িত্ব নেয়ার পর ইতালি হেরে মাত্র দুই ম্যাচে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে আজ্জুরিরা সবশেষ হেরেছিলো ২০১৮ সালে উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে পর্তুগালের কাছে। এরপর ২৭ ম্যাচে অপরাজিত ইতালি। এ সময়ে তারা গোল দিয়েছে ৭৪টি, অন্যদিকে প্রতিপক্ষের বল তাদের জালে ঢুকেছে মাত্র ৭ বার। ইউরো বাছাইপর্বেও ইতালি ছিলো অপ্রতিরোধ্য। ১০ ম্যাচের সবগুলোতে জয়, করেছে ৩৭ গোল।

মানচিনির পছন্দের ফরমেশন ৪-৩-৩। আর ইতালির শক্তির জায়গা বরাবরই রক্ষণ। এবারো সেই দায়িত্বে থাকবেন দুই অভিজ্ঞ লিওনার্দো বনুচ্চি ও গিওর্গিও কিয়েল্লিনি। দুই ফুলব্যাক হিসেবে মানচিনির প্রথম পছন্দ ফ্লোরেঞ্জি ও লিওনার্দো স্পিনাৎসোলা। জর্জিনিও, ভেরাত্তি আর বারেল্লাকে নিয়ে মানচিনি সাজান মিডফিল্ড। আর আক্রমণে সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে বরাবরের মতো থাকবেন সিরো ইম্মোবিল। আর দুই উইংয়ে ইনসিনিয়ে ও বেরার্দি। আর পোস্টে ইতালির ভরসার নাম জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।

যে দলে এমন ভারসাম্য তারা তো ফেবারিটের তালিকায় থাকবেই। এখন শুধু অপেক্ষা মাঠে প্রত্যাশা পূরণের। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.