নীলফামারীতে ঘন কুয়াশায় ট্রাক্টরের চাপায় স্বামী নিহত, স্ত্রী হাসপাতালে

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর সদর উপজেলায় সকালে মোটরসাইকেলে অফিসে যাচ্ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। ঘন কুয়াশা থাকায় পথে ট্রাক্টর ও তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্বামী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের শিমুলতলী কাজীরহাট সংলগ্ন শিমুলতলা কাচারি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তারেক রহমান সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি নতুন হাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জমিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি সনিক প্রা. লিমিটেড কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তারও একই কারখানায় কর্মরত।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঘন কুয়াশার কারণে বিপরীত থেকে আসা ট্রাক ও মোটরসাইকেলচালক কেউ কাউকে দেখতে না পাওয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তারেক নিহত হন। পরে তারেকের স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রী দুজন মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি থেকে কারখানায় যাচ্ছিলেন। সকালে প্রচুর কুয়াশার কারণে বিপরীত থেকে আসা ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের কেউ কাউকে দেখতে না পাওয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই তারেক নিহত ও মাহমুদা আহত হন।
পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আহতকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহীদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বিটিসি নিউজকে বলেন, নিহত শ্রমিকের মরদেহ থানায় নেওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনার পর ট্রাক্টর নিয়ে চালক পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নীলফামারী প্রতিনিধি এরশাদ আলম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.