নিজ উদ্যোগে বিএনপি নেতা মিলনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত


স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এবং পবা-মেহানপুর থেকে গত সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে নির্বাচনী রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসন এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান শফিকুল হক মিলন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত দুইশ এর অধিক দেশে আক্রান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশেও এর প্রভাব বেশ জটিলভাবে দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুও ঘটছে প্রতিদিন। সরকারের প্রথমের দিকে আমলে না নেয়া এবং বেশ কিছু ভূল সিদ্ধান্ত ও সরকারের আমলা, মন্ত্রী ও এমপি-দের মিথ্যাচারের কারনে এখন প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই আছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে দেশবাসী ধোয়াসার মধ্যে রয়েছে। ডাক্তারগণ ভালভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারছেন না। নেই ভাল মানের ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোষাক। যা সরবরাহ করা হয়েছে তা ভেজাল। এ নিয়ে দেশবাসীসহ ক্ষোদ সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে বলে জানান মিলন।

তিনি আরো বলেন, দেশবাসীকে রক্ষা করতে সরকার থেকে পুরো দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা দিয়ে প্রতিটি জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় আসতে পারবেনা বলে আইনশৃংখলা বাহিনী প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষনা করা হলেও প্রতিদিন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গজিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজশাহীতে লোক প্রবেশ করছে। এ থেকে বোঝা যায় আইনশৃংখলা বাহিনী কতটা সক্রিয়। মিলন আরো বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারীভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ঘুরছেনা যাববাহনের চাকা। বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

এরপর একমাসের অধীক সময় ধরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত রাজশাহীতে চলছে লকডাউন। এতে করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ হয়ে পড়েছে বেকার। তাদের প্রতিটি পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও নগদ অর্থের সংকট। বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বেশী বেকায়দায়। এই সকল মানুষের মুখে সামান্য দূমুঠো খাবার তুলে দিতে কাজ করছেন বলে জানান মিলন। তিনি বলেন, সম্পূর্নভাবে নিজের তহবিল থেকে রোজার প্রথমদিন থেকে এই খাদ্য সামগ্রী প্রদান অব্যাহত রখেছেন।

মিলন বলেন, সরকার দলীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন ত্রাণ চুরি নিয়ে ব্যস্ত, তখন বিএনপি নেতৃবৃন্দ নিজ উদ্যোগে নিজ অর্থ ব্যয় করে জনবগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পুরো রোজার মাস তিনি এই ধরনের সহায়তা অব্যাগত রাখবেন বলে জানান তিনি।

সেইসাথে হ্যান্ডস্যানিটাইজার, সাবান ও মাস্ক বিতরণও চলমান থাকবে। করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শসহ বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার আহবান জানান তিনি। সেইসাথে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলার জন্য এলাকাবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান মিলন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.