না বলা কথা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: শোকাবহ আগষ্টে শহীদ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের সকল শহীদগণের রুহের মাগফিরাত ও জান্নাত কামনা করি। নিভার তৃতীয় জন্মদিনে জন্ম বার্ষিকী পালন প্রসঙ্গে ‘কিছু না বলা কথা’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন, শিল্পী আক্তার দম্পতির কনিষ্ট শিশু কন্যা মরিয়ম আক্তার নিভার গত শনিবার (০৮ আগষ্ট) ছিল তৃতীয় জন্ম বার্ষিকী। প্রতিবেশী সম্পর্কে নিভা আমার ভাগ্নি হন।

আমি বরাবরই জন্ম দিন পালনে আগ্রহি নই। কারন জন্ম আর মৃত্যু যে একই সুত্রে গাঁথা। প্রতিটি জন্মদিনে স্মরণ রাখতে হয় কে আমার সৃষ্টি কর্তা? কে আমার জন্ম দাতা পিতা-কে আমার গর্ভধারিণী মা? আমার যে শেষ ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা কবর।

জীবনে ভোগ বিলাসীতার পাশাপাশী আমি কী আমার রব আমার সৃষ্টিকর্তা আমার আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পেরেছি।

কবরে যাবার পুর্বে কী কবরের সামান যোগান করতে পেরেছি? আমাদের আখেরী নবী উম্মতে মোহাম্মদী হযরত মোহাম্মদ( সা:) দেখানো পথে কী চলেছি? কিন্তু এসব বিষয় নিয়ে কেউ কেউ ভাবলেও অনেকেই যে এসব চিন্তা চেতনার কথা এড়িয়ে যান এ কথাও তো সত্যি। এ কথাগুলো স্মরণ করতে গিয়ে খোদার ভয়ে আমার জীবনে কোনদিন চাকু হাতে নিয়ে কেক কেটে, মিষ্টি, কোমল পানীয় জোগাড় করে, গান বাজনা করে, বন্ধু বান্ধব ডেকে দাওয়াত দিয়ে জঠলা পাকিয়ে হই হুল্লোর করে বেলুন ফাটিয়ে নব্য আধুনিক সেজে জন্ম দিন পালন করাটা কোন সময়ই আমার হয়ে উঠেনি।

শুধু আমি একা নই, আমার স্ত্রী সন্তান কেউই এ ধরণের অনুষ্ঠানে আগ্রহি নন ! আবার ফেসবুকে আমার ছবি দিয়ে আমার জন্মদিন জানান দেয়ার জন্য শেযার, লাইক কমেন্ট ভাড়ার জন্য আমার কোন ভক্তও নেই। কারন আমি এমন ডিজিটিাল ভক্তদের ১০০/ ৫০ টাকার ডাটা, এমবি, জিবি লোডের খরচ বহন করতে সামর্থবান নই! যাও হাতে গোনা কয়েকজন আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে চেনেন উনাদের আবার এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন আছে কী না তাও জানিনা। হয়ত আছে হয়ত কারো নেই।

তবে আমি বা আমার পরিবারের সদস্যদের জন্মদিন উপলক্ষে একটি ক্ষুদ্র কাজ সাধ্যমত করে যাবার চেষ্টা করি । সামর্থ অনুযায়ী কয়েকজন আলেম উলামা দাওয়াত করে ডাল ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করি।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করি। সুবিধাবঞ্চিত কিছু সংখ্যক মানুষের মধ্যে সদকা, দান খয়রাতে নীরব চেষ্টা করি। জানিনা আমার এ কাজে কে কী সমালোচনা করেন? আজীবন যাতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যগণ নিজেদের জন্মদিন পালনে এ পথই অনুসরণ করে যেতে পারি খোদার নিকট এই আশা রাখি।

এবার আসা যাক আমার প্রতিবেশী ভাগ্নি শিশু কন্যা নিভার জন্ম দিন পালন প্রসঙ্গে। নিভার বয়স সবে মাত্র তিন বছর। এ বয়সে তাকে হাসি খুশী রাখাটাই স্বাভাবিক। উপরের লেখা গুলো এ বয়সী একটি শিশু কন্যার ক্ষেত্রে কোন মতেই প্রযোজ্য হতে পারে না।

নিভাকে প্রায়ই কাছে ডেকে নিয়ে হাসি ঠাট্রা করি। ওর বাবা -মা ভাল মনের মানুষ। তাই নিভার মমতার জালে ওর বাসায় রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যেতেই হল।

তার বাবা মা কনিষ্ট শিশু কন্যা নিভার তৃতীয় জন্ম বার্ষিকীতে তার দ্বীর্ঘায়ু ও উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করে সবার নিকট দোয়ার দরখাস্ত রেখেছেন। আমিও তার জন্য আপনাদের সবার নিকট দোয়া প্রত্যাশা করি, আল্লাহ যেন তাকে নেক হায়াত দারাজ করেন, শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করে মানব সেবায় যেন নিভা বড় হয়ে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারে। আমিন। #

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি মো. হাবিব সরোয়ার আজাদ। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.