নাটোরে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন ভাইয়ের মৃত্যু


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে ১৬ ঘণ্টার মধ্যে তিন সহোদরের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন নাটোর শহরের ঐতিহ্যবাহী ইসলামিয়া হোটেল (যা পচুর হোটেলের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম ওরফে পচু (৫৬), তাঁর বড় ভাই মো. ঊাবলু ইসলাম (৭০) ও ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৪৮)। এঁদের দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং অন্যজন এক ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হৃরাগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হোটেলটির স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম ওরফে পচু গত রোববার করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁকে সেবা করার জন্য হাসপাতালে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমও করোনা সংক্রমিত হয়ে বুধবার একই হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শরিফুল ইসলামকেও আইসিইউতে নেওয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার ভোর তিনটার দিকে মেজ ভাই শরিফুল ইসলাম মারা যান। ভোর চারটার দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই বড় ভাই মো. বাবলু ইসলাম হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই নিজ বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। জুমার নামাজের পর শহরের গাড়ীখানা কবরস্থানে দুই ভাইয়ের দাফন অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমেরও মৃত্যু হয়।
বাবলু ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ মহল্লার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
শহরের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বিটিসি নিউজকে জানান, পচুর হোটেলের সুনাম দেশজুড়ে। শহরের চকরামপুর এলাকায় গীতি সিনেমা হলের পাশে প্রায় চার দশক আগে শরিফুল ইসলাম পচুর হোটেল নামে ক্ষুদ্র পরিসরে খাবার হোটেল চালু করেন। তাঁর সততা, দক্ষতা ও ভালো রান্নার গুণে পচুর হোটেলের সুনাম দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.