নাটোরে বন্দুকের বাট দিয়ে মাটি ব্যবসায়ীর ৫টি দাঁত ভেঙ্গে দিল পুলিশ!

নাটোর প্রতিনিধি: সিগন্যাল না মানায় নাটোরে বন্দুকের বাট দিয়ে কামরুল হাসান ওরফে মিন্টু নামে মাটি ব্যবসায়ীর দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে এক পুলিশ সদস্য।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হরিশপুর রহিমের পেট্রোল পাম্প এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত ব্যবসায়ী কামরুল হাসান ওরফে মিন্টু কে বেসরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মিন্টু শহরের হরিশপুর কামারপাড়া এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এই ঘটনায় পুলিশ সদস্যের বিচার দাবীতে নাটোর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাটি ব্যবসায়ী মিন্টু মোটারসাইকেল যোগে শহরতলীর দত্তপাড়া এলাকা থেকে হরিশপুর যাচ্ছিল। এসময় নাটোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শওকত মেহেদি সেতুর নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমান আদালত অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছিলেন।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালতে থাকা পুলিশ সদস্য অনিক হাসান মাটি ব্যবসায়ী মিন্টুকে সিগন্যাল দেয়। কিন্তু মিন্টু না থামিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল ‍নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পরে কিছু দুরে গিয়ে মাটি ব্যবসায়ী মিন্টু মোটরসাইকেল থামিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে আসে। এসময় ওই পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্য়ায়ে পুলিশ সদস্য অনিক হাসানের কাছে থাকা বন্দুকের বাট দিয়ে মিন্টুর মুখে আঘাত করে। এতে করে মিন্টুর ৫টি দাঁত ভেঙ্গে শরীর রক্তাক্ত হয়।
পরে স্থানীয়রা পুলিশ সদস্য অনিক হাসানের বিচার দাবীতে সড়ক অবরোধ করে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মিন্টুর ভাই মিজানুর রহমান মিঠন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, খবর পাওয়ার পর ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের আলসান হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এশিয়া ডেন্টালে নেওয়া হয়েছে। বন্দুকের বাটের আঘাতে ৫টি দাঁত ভেঙ্গে গেছে।
এবিষয়ে নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় মাটি ব্যবসায়ীকে পুলিশ সদস্য সিগনাল দিলে, সে অমান্য করে চলে যায়। যেহেতু মোটরসাইকেলটি স্পিডে চলানোর সময় পড়ে গিয়ে মাটি ব্যবসায়ীর ঠোট কেটে গেছে এবং দাঁতে আঘাত পেয়েছে। তারপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। পুলিশ সদস্য দোষি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.