নাটোরে প্রচারণার প্রথমদিনেই বিএনপির মাইক ভেঙ্গে দেয়া হল

নাটোর প্রতিনিধি: প্রার্থী মনোনয়নে আইনী জটিলতার কারণে অনেক দেরীতে নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের বিএনপি প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি আজ বৃহষ্পতিবার প্রচারণা শুরু করেন।

শুরুতেই প্রতিপক্ষের হামলায় মাইক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম বাচ্চু জানান, বৃহষ্পতিবার বিকেল থেকে তারা তাদের মনোনীত প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিনের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন। প্রচারণা মাইক শহরের আলাইপুর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে কয়েকশ’ গজ দূরে ছায়াবাণি সিনেমা হল মোড়ে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা সেটি ভাংচুর করে। এত মাইকিং বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা শহরের বাইরে বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার লাগাতে শুরু করেন।

মোঃ শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, শুরুতেই মাইক ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষরা তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। হয়তো লাগানো পোষ্টারও থাকবে না। ভোট চাইতেও দিবে না কিন্তু তবুও তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবেন না বলে জানান। নির্বাচনে লড়বে এবং জিতবেন। জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, এই আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এর আগে দুইবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য ও উপমন্ত্রী হন। এবারও তিনি মনোয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তার মনোনয়নপত্র জেলা রিটানির্ং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেননি। পরে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

সেখানে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত। তবে নির্বাচন কমিশন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে স্থগীতাদেশ চান। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন। ফলে দুলুর নির্বাচনে অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হয়। আগেই এই আসনে দুলুর পাশাপাশি তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল তাকে মনোনয়ন দিয়েও ছিলেন। তিনি প্রত্যাহারের আবেদন না করায় তার মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত হয়। এ কারণে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুলুর ব্যাপারে আপিল বিভাগের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হওয়ার আগমুহুর্তে তাকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্বাচনের আগে তার আর জেল থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই।

এসব ঝুক্কিঝামেলা সামলাতে গিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন তার নির্বাচনী এলাকাতে পৌঁছতে পারেননি। ফলে তার প্রচারণাও শুরু করা হয়নি। তার নির্দেশে বৃহষ্পতিবার প্রচারণা শুরু করলেও তা কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে নেতা কর্মীদের মধ্যে। প্রচারণার শুরুতে মাইক ভাঙচুর সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্তুজা বাবলু জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে নৌকার কোনো সমর্থক জড়িত নাই। হয়তো বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। দুলু বা দুলুর স্ত্রী গত ১০ বছর নাটোরে ছিলেন না। হটাৎ নাটোরে এসে মাইকিং শুরু করেছেন তা হয়তো তাদের কর্মীরা মানতে পারছেন না।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.