নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের ছাতনী দিয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবীতে রোববার দুপুরে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেন মাদকাসক্ত। সে স্কুলের প্রতিটি পদের বিপরিতে তিন চারজনের নিকট থেকে চাকুরী দেয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে। দুই স্ত্রী থাকার পরও অফিস সহকারী পদে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে আরো একটি বিয়ে করেছে।
বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক শাখা সরকার এমপিও করার ঘোষণা দিলে তিনি কর্মরতদের নিকট আট লাখ করে টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে তাদের বাদ দিয়ে নতুন শিক্ষক-কর্মচারী নেয়া শূরু করেন। ২০০৩ সালে ছাতনী দিয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য এলাকার সুফিয়া বেগম ও জহির উদ্দীন সহ কয়েকজন ২ বিঘা জমি দান করেন। বিনিময়ে তাদের সন্তান বা পরিজনদের মধ্যে থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে চাকুরী দেয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক তা দেয়নি।
তার এসব অনিয়ম তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার দাবী করেছেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল সরকারসহ কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, স্কুলের জমি দাতা, ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দুলাল সরকার বলেছেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অবমাননা করে নানা রকম অনিয়ম করায় ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মোঃ মাহবুব-উল-আলম কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, তাকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, তার বিদ্যালয়ে বর্তমানে কোন কমিটি নেই। সাবেক সভাপতি কোন ভাবেই তাকে বহিষ্কার করতে পারেন না। দুলাল সরকার পুনরায় সভাপতি হওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে এসব চক্রান্ত করছেন। গত ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনও তার বিরুদ্ধে করা চক্রান্তে যুক্ত হয়েছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.