নাটোরে এক নারীকে ধর্ষনের পর হত্যার দায়ে স্বামী ও স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

 

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা  গ্রামে এক নারীকে ধর্ষনের পর হত্যার দায়ে স্বামী বেলাল হোসেন ও স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। কারাদন্ড প্রাপ্ত বেলাল হোসেন সদর উপজেলার উলুপুর এলাকার জব্বার আলীর ছেলে এবং বেলাল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে।
নাটোর জজ আদালতের স্পেশাল কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারী নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি আম বাগানে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ পড়ে আছে এমন সংবাদে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধারে যায়। মরদেহটি উদ্ধার শেষে ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত আলামতের ভিত্তিতে জেসমিনের ছবি পাওয়ায় সন্দেহ জনক ভাবে জেসমিন খাতুনকে আটক করে পুলিশ। পরে জেসমিনের স্বামী বেলাল হোসেন জড়িত থাকা সন্দেহে আটকের চেষ্টা করে কিন্তু ঘটনার পর থেকে বেলাল হোসেন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় জেসমিন ও তার স্বামী বেলাল হোসেনের নাম উল্লেক করে নাটোর সদর থানার উপ-পরিদর্শক নুরুজ্জামান মামলা দাখিল করেন।
দীর্ঘ ১৩ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আসামী স্ত্রী জেসমিন এর উপস্থিতি ও স্বামী বেলাল হোসেনকে পলাতক দেখিয়ে তার অনুপস্থিতিতে আদালত উভয়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের এই রায় ঘোষণা করেন। সেই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানার অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.