নাটোরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ছেলের বিরুদ্ধে কৃষককে মারপিটের অভিযোগ


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গনি এবং তাঁ ছেলে নাটোর জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম কালিয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে এক নিরীহ কৃষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
আজ রবিবার বেলা ১২ টার দিকে ওই ইউনিয়নের রিসি নওগাঁ গ্রাম সংলগ্ন কৃষি জমিতে এ ঘটনা ঘটে। আহত কৃষক মো. ইদ্রিস আলী ওই গ্রামের মৃত মনতাজ আলীর ছেলে। ওই কৃষককে বুধবার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে । তবে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান এবং তাঁর ছেলে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রিসি নওগাঁ গ্রামে ওই কৃষকের পৈত্রিক জমি রয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে ওই জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন কৃষকের তিন ভাই ও বোন ।এই জমি নিয়ে ইদ্রিস আ আলীর সাথে তাঁর চাচা ফজর আলী ,চাচাতো ভাই মিজান এবং প্রতিবেশি ইসমাইলের বিবাদ চলে আসছিল । জমি সংক্রান্ত এই বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
আদালত কৃষক ইদ্রিস আলীদের পক্ষে রায় দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গনি এবং তাঁর চাচাতো চাচা ফজল আলী ও চাচাতো ভাই মিজান এবং একই গ্রামের ইসমাইল হোসেন কৃষক ইদ্রিস আলীকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে তার জমি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বেও অনেকবার প্রতিপক্ষের লোকজন ইদ্রিস আলীর জমিতে এসে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে ওই জমিতে ইদ্রিস আলী কৃষিকাজ করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গনি ও তার ছেলে শ্রমিক নেতা কালিয়া এবং চাচা ফজর আলী, চাচাতো ভাই মিজান, ইসমাইল হোসেনসহ আরো ৫০ থেকে ৬০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে সেখানে উপস্থিত কৃষি কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেন। জমিটি নিজেদের বলে দাবী করে। ইদ্রিস মিয়া কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে চেয়ারম্যানসহ প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর চড়াও হয় এবং তাকে মারধর করে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষক ইদ্রিস আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
কৃষক ইদ্রিস আলী জানান, ‘আমি আমার নিজের জমিতে কাজ করছিলাম। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গনি ও তাঁর ছেলে কলিয়া আরো কয়েকজন এসে কাজ করতে নিষেধ করে। নিষেধ না মানায় চেয়ারম্যান এবং তাঁর ছেলে নেতৃত্বে অন্যরা মারপিট করে। পরে পুলিশ গিয়ে আমাকে রক্ষা করে ।আমি মামলা দাযেরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বড় হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি বলেন, ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম ‘ইদ্রিস কে আমি ধরিনি, তাকে মারধরও করা হয়নি। ইদ্রিসের চাচা এবং চাচাতো ভাইয়ের জমি সে (ইদ্রিস আলী) চাষ করায় তাকে নিষেধ দেয়া হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যান এবং তাঁর ছেলে সাংঘাতিক অন্যায় করেছে। এটা মানা যায় না। ‘এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.