নাটোরে আ. লীগ অফিস ভাংচুর করে অন্যের ঘাড়ে চাপাতে গিয়ে নিজেই ফাঁসলেন আ. লীগ নেতা


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে আওয়ামীলীলীগের দলীয় অফিস ভাংচুর এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের নাটক সাজিয়ে অন্য কে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সন্ধায় নাটোর সদর উপজেরার তেবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাস্তান মোড় এলাকায় ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আজ শুক্রবার (১৩ আগষ্ট) রাত ১ টার দিকে সদর থানা পুলিশ মাস্তান মোড় এলাকা থেকে ২ নং তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিহাব উদ্দীন মিলন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নাটোর জেলা শাখার সহ সভাপতি বাশারতুল্লাহ বাশার (৩৫) এবং যুবলীগ কর্মী হিমেল (১৮ )কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
২ নং তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিহাব উদ্দীন মিলন বৃহ¯পতিবার সন্ধ্যায় অভিযোগ করেন, গতকাল বৃহম্পতিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের সিংহারদহ দক্ষিণপাড়া এলাকার রিপন,আল আমিন,ভূট্টোর নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী লোহার রড,পাইপ,হাসুয়া নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাস্তান মোড় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় মিলনকে না পেয়ে অফিসে বসে থাকা যুবলীগ কর্মী হিমেলকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় অফিসে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনা এবং নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ছবি সহ সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এছাড়া মিলনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ড্রয়ার ভেঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এদিকে দলীয় অফিসে হামলা ও বঙ্গবন্ধু ওপ্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় দলীয় নেতা কর্মিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পরে অভিযুক্ত রিপন এবং আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা বিটিসি নিউজকে জানান, তাদের ছেলেরা ইটভাটায় কাজ করে। এসব ভাংচুরের ঘটনা তারা ঘটাননি। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আওয়ামী লীগ নেতা মিলন এবং তাঁর সহযোগিরা এ নাটক সাজিয়েছে। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা কে বিষয়টি জানালে তিনি রাতেই পুলিশ প্রশাসনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নিদের্শ দেন।
তেবাড়িয়া ইইপ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ওমর আলী প্রধান বিটিসি নিউজকে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে জেনেছেন আল আমিনেরা ইট ভাটার শ্রমিক। এরা ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়নি। এটা আল আমিনদের সাথে শত্রুতার কারণে পরিকল্পিতভাবে মিলন এবং তার সহযোগীরা ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
নাটোর থানার (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনায় ইট ভাটা শ্রমিক আল আমিন ও মিলনদের সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক সালিশ বৈঠকে হিমেলকে দুএকটি থাপ্পর মারা হয়। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষদের শায়েস্তা করার জন্য মিলন ,বাশার ও হিমেল অফিসের টেবিল চেয়ার উল্টে ফেলে এবং ছবি ভাংচুর ভাংচুর করে আল আমিনদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হওযার পরে আজ শুক্রবার রাতেই অভিযান মিলন, হিমেলে ও বাশারকে আটক করে। তিনি বলেন এ ঘটনায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.