নাটোরের বড়াইগ্রামে কথিত ছেলের সাথে প্রতিবন্ধি তরুণীর বিয়ে, পরে নিখোঁজ


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে মেয়ের দেবরকে নিজ ছেলে হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক বাক প্রতিবন্ধি তরুণীকে যৌতুক নিয়ে বিয়ে দেওয়ার ৮ মাস পর ওই তরুণী আকস্মিক নিখোঁজ হন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই তরুণীর দুই ভাই সংবাদ সম্মেলন করে তার নিখোঁজ বোনকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধার করে তাদের কাছে ফেরত দেয়ার দাবি জানান।
সকাল ১০টায় উপজেলার বনপাড়া মালিপাড়া রোডস্থ নিউ কফি হাউজে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই ভাই মুলাডুলির রহিমপুর গ্রামের হাসেন আলী ফকিরের ছেলে কামাল হোসেন ও জামাল হোসেন জানান, তাদের মা হারা আদরের বোন জান্নাতুল ফেরদৌস (২০) একজন বাক প্রতিবন্ধি।
গত ৮ মাস আগে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক নির্ধারণ করে ও এক লক্ষ টাকা নগদ প্রদানের সাপেক্ষে তাদের বোনকে বিয়ে দেন উপজেলার গোপালপুর নারায়নপুর গ্রামের ইসকেন আলী ও চায়না বেগমের কথিত ছেলে শহীদুল ইসলামের সাথে। বিয়ের ৪ মাস পর জানা যায় ওই শহীদুল তাদের আসল ছেলে নন। সে ওই দম্পত্তির মেয়ে রেশমা আক্তারের দেবর।
মূলত যৌতুকের লোভে তারা বগুড়া জেলার শহীদুলকে নিজ ছেলে পরিচয় দিয়ে বাক প্রতিবন্ধির সাথে বিয়ে দেন। সংবাদ সম্মেলনে দুই ভাই আরও জানান, প্রায়ই তাদের বোনকে শহীদুল ও তার কথিত মা-বাবা যৌতুকের বাকী টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতো এবং শারিরীক নির্যাতন চালাতো।
গত ৭ ফেব্রয়ারী সকালে বোনের স্বামী শহীদুল তাদেরকে জানান, ভোর ৫ টা থেকে জান্নাতুল বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। তাকে অনেক খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। এ সংবাদ পাওয়ার পর দুই ভাই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে সন্ধান লাভে ব্যর্থ হওয়ার পর ৯ ফেব্রæয়ারী কামাল হোসেন এ ব্যাপারে থানায় জিডি দায়ের করেন। কিন্তু থানায় জিডি করার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি প্রতিবন্ধি গৃহবধূ জান্নাতুলের খোঁজ।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, জান্নাতুলের খোঁজে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশা করা যায় দ্রæত তার সন্ধান পাওয়া যাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.