নাঙ্গলকোটে আ.লীগ-বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, ১৪৪ ধারা

কুমিল্লা ব্যুরো: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর আগেই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে ৬ পুলিশসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরের লোটাস চত্বরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও নৌকার ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয় বলে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে। এদিকে হামলা ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার খবর পেয়ে কুমিল্লা ও আশপাশের থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ কর্মীদের বাধায় নেতারা সমাবেশস্থলে আসতে পারেননি। সমাবেশ এলাকায় বিনা উসকানিতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশ নিয়ে বিএনপি-ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী সাঈদ, মিজান, সুজন, রাকিব, জনি ও মোতালেবকে হাসাপাতালে নেওয়া হয়।’
নাঙ্গলকোটের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভুঁইয়া বলেন, সরকারি দল পুলিশ নিয়ে আমাদের সমাবেশে আসা লোকদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ অনেক টিয়ারশেল মেরেছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সাদেক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সকালে বিএনপি-ছাত্রদল কর্মীরা লোটাস চত্বরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও নৌকার ম্যুরাল ভাঙচুর করে। কয়েকটি মোটরসাইকেল আগুন দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল আসা কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একটি গাড়ি। এদিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজীতে বিএনপি ও ছাত্রলীগ দুটি স্থানে সমাবেশের ঘোষণা দিলে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন, দুটি পক্ষ একই এলাকায় সমাবেশ আহ্বান করায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) বিল্লাল হোসেন বলেন, সংঘর্ষের আশঙ্কায় সুয়াগাজীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান আব্দুল্লাহ আল মানছুর। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.