নাগেশ্বরী পৌরসভার নিম্ন মানের রাস্তার কাজ আটকে দিল এলাকাবাসী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: নাগেশ্বরী পৌরসভার রাস্তা পাকাকরণে নিম্ন মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে আবারও কাজ শুরু হলে আবারও নিম্ন মানের কাজ করার অভিযোগ স্থানীয়দের।

পৌরসভার বকশিরখামার এলাকার ঘটনা এটি। কাজের বরাদ্দ ও তথ্য জানতে পৌরসভার প্রকৌশলীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি বারবার কেটে দিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, বকশিরখামার থেকে বাঁশেরতল পর্যন্ত রাস্তাটি পাকাকরণ কাজ চলছে পৌরসভার একটি প্রকল্পের আওতায়। নিম্ন মানের ইটের খোয়া ফেলার পর গতকাল বুধবার রাতে উপরের পাথরের স্তর ও বিটুমিনের প্রলেপে নি¤œমানের কাজ করে ঠিকাদারের লোকজন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দিয়ে পৌর মেয়রকে বিষয়টি জানায়। পরে মেয়র আব্দুর রহমান মিয়ার হস্তক্ষেপে পূনরায় কাজ শুরু হয়। এরপরও নিম্ন মানের কাজ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, বরাদ্দ কত, তার সাইনবোর্ড টানানো হয়নি। স্থানীয়রা জানেন না কাজের ধরণ। তারা বলেন বড় বড় খোয়া দেয়া হয়েছে। ঠিকমত লেভেল করা হয়নি।

অধিকাংশ যায়গায় পাথর ও বিটুমিন পরেনি। পিচ মিশ্রিত পাথর ও বিটুমিন দেয়ার পরও অধিকাংশ যায়গায় নিচের ইটের খোয়া দেখা যাচ্ছে। পাথর ও বিটুমিনের স্তর বেশিরভাগ জায়গায় এক ইঞ্চি ও হাফ ইঞ্চি দেয়া হয়েছে।

কাজের ফিনিশিং হয়নি। অল্পদিনে উঠে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতসব অনিয়ম দেখে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কাজ বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী আলতাফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মজনু মিয়াসহ অনেকে বলেন, রাস্তার কাজ এতোটা খারাপ যা বলার মত না। এজন্য আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কাজ ভালো না হলে করতে দেয়া হবে না।

নাগেশ্বরী পৌর মেয়রকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি কাজ ভালো করার আশ্বাস দেন। আবারও কাজ শুরু হলে একই অবস্থা। এখানে উপস্থিত ঠিকাদারের সহযোগীর কাছ থেকে কাজের তথ্য চাওয়া হলে তিনি জানেন না বলে জানান। নিম্ন মানের কাজ হওয়ার কথা স্বীকার করলেও কথা বলেননি।

পৌরসভার প্রকৌশলী ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেনি। পৌর মেয়র আব্দুর রহমান মিয়ার ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান হৃদয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.